পাতা:রাজা গনেশ - শচীশ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম পরিচ্ছেদ । Տ8Գ মন্দির প্রস্তর-গঠিত-দ্বারও প্রস্তর নিৰ্ম্মিত। ভাঙ্গা বড় সহজ নয়। কিশোরীমোহনও তাহা বুঝিয়াছেন। ভীমকায় কপাট ভিতর হইতে রুদ্ধ ছিল । সম্ভবতঃ পুরোহিতেরা ভীত হইয়া দ্বার বন্ধ করিয়া থাকিবেন। কিশোরীমোহন অনেক ঠেলা ঠেলি করিলেন, কিন্তু দ্বার খুলিল না। তখন তিনি উপযুক্ত যন্ত্রাদি আনিতে নগরে লোক পাঠাইলেন । মন্দিরের পিছনে ঘনবিন্যস্ত বৃক্ষশ্রেণী । সেই বৃক্ষশ্রেণীর অন্তরালে কিশোরীমোহন র্তাহার অধিকাংশ ফৌজ লুক্কায়িত রাখিলেন। কয়েকজন মাত্ৰ মন্দিরের দক্ষিণে বামে ঘুরিয়া বেড়াইতে লাগিল। তখনও ইব্রাহিম সাহেব তঁহার সাত শত ফৌজ লইয়া আইসেন নাই। আসিবার কোন প্রয়োজনও ছিল না । মন্দিরটি অনেক দিনের-বিশ্বকৰ্ম্মার নিৰ্ম্মিত বলিয়া লোকের ধারণা ৷ প্ৰতিমা কত দিনের তাহ কেহ বলিতে, পারে না । দু’একজন লোক বলিয়া থাকে, শুস্ত নিশুম্ভ বধকালে দেবী এইখানে আসিয়া বিশ্রাম করিয়াছিলেন । সে কথাটা কতদূর বিশ্বাসযোগ্য তাহা বলিতে পারি না। কিন্তু এটা সত্য যে, দেবীর নাম হইতে নগরের নামকরণ হইয়াছিল।