পাতা:রাজা গনেশ - শচীশ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*०१२ রাজা গণেশ । হেলিয়া পড়িলেন, তখন গণেশ নারায়ণের বৃত্যুহ ভাঙ্গিয়া গেল। হিন্দুরা ক্লান্ত, অবসন্ন। পাঠানের একদল ক্লান্ত হইয়া পড়ে, অপর দল তাহার স্থান গ্ৰহণ করে । হিন্দুদের সে উপায় নাই। যাহাদের অবসন্ন হস্ত হইতে অস্ত্ৰ খসিয়া পড়িতেছে তাহদের দাড়াইয়া প্ৰাণ দিতে হইতেছে । এইরূপে প্রায় একশত হিন্দু মরিল । যাহার অবশিষ্ট রহিল, তাহারা পাঠানের আক্ৰমণ আর সহ্য করিতে পারিল না। অবশেষে বুহি ভাঙ্গিয়া গেল । পাঠানেরা তখন “আল্লা” “আল্লা’ রবে দিগন্ত প্ৰকম্পিত করিয়া প্রাচীর তুল্য যন্ত্রনিচয় টানিয়া ফেলিয়া দিল ; এবং গণেশনারায়ণকে তিন দিক হইতে আক্রমণ করিল। রাজা বুঝিলেন, আর রক্ষা নাই। তখন তিনি মনে মনে মহামায়াকে ডাকিয়া বললেন, “অসুরদলনী মা ! এক দিনের জন্য আমার ভুজে মত্তহস্তীর বল দেও-তোমার অবমাননাকারীকে শাস্তি দিবার শক্তি দেও; তারপর গণেশনারায়ণের নাম জগৎ হ’তে চিরদিনের জন্য মুছে দিও মা ।” ইব্রাহিম খাঁ তরবারি হস্তে গণেশনারায়ণকে আক্রমণ করিলেন । রাজা আঘাত প্ৰতিহত করিয়া বলিলেন, “সেনাপতি সাহেব, আমাকে পাইলে কি আপনার নিরস্ত ?