পাতা:রাজা গনেশ - শচীশ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ । Re ঘূণায় মনুয়ার মুখ বিকৃত হইল ; কিন্তু সে আত্মসম্বরণ করিয়া নীরব রহিল । দেখিতে দেখিতে অশ্বারোহী নিকটস্থ হইল। তখন উভয়ে সবিস্ময়ে চিনিল, আগন্তুক একজন পাঠান সৈনিক কৰ্ম্মচারী-কিশোরী মোহনের সঙ্গে দেবীকোটে আসিয়াছিল । ভয়েই বুঝিল, সৈনিক যুদ্ধক্ষেত্ৰ হইতে পলাইয়। আসিতেছে। বস্তুতও তাই । হিন্দুরা যখন দেখিলইব্রাহিম খাঁ, রাজা গণেশকে আহত ও বন্দী করিয়া যুদ্ধক্ষেত্ৰ হইতে পলায়ন করিল, তখন তাহারা কাণ্ডজ্ঞান শূন্য হইয়া সশস্ত্র ও নিরস্ত্ৰ পাঠানদিগকে প্রচণ্ডবেগে আক্রমণ করিল। সেই আক্রমণের ফলে প্রায় সফল পাঠানই মরিল । যে দুই চারিজন অশ্বারোহণে ছিল, তাহান্নাই কোন গতিকে পথ করিয়া পলায়ন করিল। এই সৈনিক তাহদের মধ্যে একজন । সৈনিককে চিনিবা মাত্র কিশোরীমোহন আগ্ৰহান্বিত হইয়া অগ্রসর হইল ; এবং জিজ্ঞাসা করিল, “যুদ্ধের সংবাদ কি, সাহেব ?” সৈনিক ক্ষণকাল উত্তর করিতে পারিল না । পরে একটু বিশ্রাম লইয়া অভিবাদনান্তে বলিল, “দুই চারিজন ছাড়া একজন পাঠানও যুদ্ধক্ষেত্র হইতে জীবিত ফিরে নাই।”