পাতা:রাজা গনেশ - শচীশ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ । R ধ্বংস হয় নাই। সেই সৰ্ব্বশোভাময় বিস্তীর্ণ দরবার গৃহে সুলতান আসলতানকে সাজিত না । তিনিও কাচিৎ তথায় উপবেশন করিতেন। আসলতান চির রুগ্ন ও দুৰ্ব্বল। রাজকাৰ্য্য, বিষম বাঞ্চাট বলিয়। তাহার মনে হইত। কলহ বিবাদ তিনি ভালবাসিতেন না-অত্যাচারের পক্ষপাতী ছিলেন না। কোন রকমে নিৰ্ব্বিবাদে রাজকাৰ্য্য "চলিয়া যায়, ইহাই তোহার। আন্তরিক ইচ্ছা । কিন্তু সচরাচর তাহা ঘাঁটিয়া উঠিত না, একটা না একটা গোলে আলিমসা তাহাকে ফেলিত। তিনি অনেক সময়ে পালিত পুত্ৰ আলিমস কর্তৃক পরিচালিত হইতেন। আজও তাহার ইচ্ছার বশবৰ্ত্তী হইয়া গণেশনারায়ণকে দরবার গৃহে আহবান করিলেন । গণেশ নারায়ণ আসিলেন । আসিয়া যেখানে বিচারপ্রার্থীরা দাড়ায় সেইখানে দাড়াইলেন। দরবারগৃহ লোকে পরিপূর্ণ। উচ্চে সিংহাসনের উপর সুলতানু উপবিষ্ট । সিংহাসনের পাশ্বে-আলিমস ; নীচে দুই ধারে সারি দিয়া অমাত্যবৰ্গ । অমাত্যবর্গের একপাশ্বে, “বিচারপ্রার্থীর স্থান ; অপর পাশ্বে সন্ত্রান্ত প্ৰজানিচয় উপবিষ্ট । প্ৰজার পিছনে বাম দিকে লৌহ পিঞ্জরের মধ্যে অপরাধীর নির্দিষ্ট স্থান । এই পিঞ্জরের পিছনে ও পাশ্বে সুসজ্জিত