পাতা:রাজা গনেশ - শচীশ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম পরিচ্ছেদ । “ት S) কিশোরীমোহন অগ্রসর হইয়া দেখিলেন, কথাটা সত্য । ব্যস্ত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “বন্দী পলায় নাই ?” মনু। না, পারে নাই। আমার আসিতে মুহূৰ্ত্তমাত্ৰ বিলম্ব হইলে পলাইত । কিশোরীমোহন আবেগভরে বলিলেন, “মিনু-নু, তোমার ঋণ আমি কখন পরিশোধ করিতে পারিব না । বনপথে তুমি একদিন আমার প্রাণরক্ষা করিয়াছিলে, আজ আমার ইজ্জত রাখিলে । বন্দী পলাইলে, আলিমসাকে আর মুখ দেখাইতে পারিতাম না।” পরদিন নিশীথে যদুনারায়ণ পঞ্চাশজন অস্ত্ৰধারী অনুচর লইয়া উদ্যানবাটী আক্রমণ করিলেন । কিশোরীমোহনের লোকজন অসতর্ক ছিল । সুতরাং, তাহারা পরাভূত হইয়া পলায়নপর হইল। এই পলায়মান দলের অগ্ৰণী কিশোরীমোহন । তিনি মনুয়াকে ছাড়েন নাই,- পলায়নকালে সঙ্গে লইয়াছিলেন । মনুয়ার যাইবার ইচ্ছা! ছিল না ; কিন্তু কি করে ? কি বলিয়া থাকিবে ? অতএব বাধ্য হইয়া যাইতে হইয়াছিল । এদিকে যদুনারায়ণ, দেওয়ান নরসিংহকে চারিদিকে খুজিয়া বেড়াইতে লাগিলেন ; কিন্তু কোথাও তাঁহাকে