পাতা:রাজা প্রজা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ste রাজা প্রজা । হইয়াছিলেন, তাহা স্পষ্ট অনুভব করা গিয়াছিল। এ গদি ছাড়িতে তাহার কিছুতেই মন সরিতেছিল না। এই রাজকীয় আড়ম্বর হইতে অবস্ব ত হইয় তাহার অন্তরাত্মা “খোয়ারী”-গ্ৰস্ত মাতালের মত আজ যে অবস্থায় আছে, তাহা যদি আমরা যথার্থভাবে অনুভব করিতাম, তবে বাঙালি ও বোধহয় আজ র্তাহাকে দয়া করিতে পারিত। এরূপ আধিপত্যলোলুপত বোধকরি ভারতবর্ষের আর কোনো শাসনকৰ্ত্তা এমন করিয়া প্রকাশ করেন নাই। এই লাট সাহেবটি ভারতবর্ষের পুৰ্ব্বতন বাদসাহের দ্যায় দরবার করিবেন স্থির করিলেন—এৰং স্পৰ্দ্ধাপুৰ্ব্বক দিল্লিতে সেই দরবারের স্থান করিলেন। কিন্তু প্রাচ্যরাজমাত্রেই বুঝিতেন দরবার স্পদ্ধ প্রকাশের জন্ত নহে : দরবার রাজার সহিত প্রজাদের আনন্দ সম্মিলনের উৎসব। সেদিন কেবল রাজোচিত ঐশ্বৰ্য্যের দ্বারা প্রজাদিগকে স্তম্ভিত করা নয়, সেদিন রাজেচিত ঔদার্য্যের দ্বারা তাহাদিগকে নিকটে আহবান করিবার দিন। সেদিন ক্ষমা করিবার, দান করিবার, রাজ-শাসনকে মুন্দর করিয়া সাজাইবার শুভ অবসর । কিন্তু পশ্চিমের হঠাৎনবাব দিল্লির প্রাচ্য ইতিহাসকে সম্মুখে রাখির এবং বদান্ততাকে সওদাগরীকাপণ্যদ্বারা থৰ্ব্ব করিয়া কেবল প্রতাপকেই উগ্রতর করিয়া প্রকাশ করিলেন। ইহাতে বস্তুত ইংরাজের রাজশ্ৰী আমাদের কাছে গৌরব লাভ করে নাই। ইহাতে দরবারের উদ্যেষ্ঠ সম্পূর্ণ ব্যর্থ হইয়া গেছে। এই দরবারের দুঃসহ দপে প্রাচ্যহৃদয় পীড়িত হইয়াছে, লেশমাত্র আকৃষ্ট হয় নাই। সেই প্রচুর অপব্যয় যদি কিছুমাত্র ফল রাখিয় থাকে, তবে তাহ অপমানের স্মৃতিতে । লোহার কাঠির দ্বারা সোনার কাঠির কাজ সারিবার চেষ্টা যে নিষ্ফল তাহা নহে—তাহাতে উল্টা কল श्ब्रां थॉक । এবারে রাজপুত্রকে ভাতবর্ষে আনা হইল। রাজনীতির তরফ হইতে