পাতা:রাজা প্রজা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথ ও পাথেয় । סיכי כי তবে ভালই, যদি নাও হয় তৰু দুঃসাধ্য সাধনে প্রবৃত্ত হইতে হইবে ; কারণ, যখন ডুবিতে বসিব তখন অন্তকে গালি পাড়িয়া কোন সাম্বন পাইব না । এইরূপ দুঃসময়ে সত্যকে চাপাচুপি দিতে যাওয়া প্রলয়ক্ষেত্রে বসিয়া ছেলেখেলা করা মাত্র । আমরা গধর্মেণ্টকে বলিবার চেষ্টা করিতেছি এ সমস্ত কিছুই নয় এ কেবল দুই পাঁচ জন ছেলেমানুষের চিত্তবিকারের পরিচয় । আমি ত এ প্রকার শূন্তগর্ভ সাস্বনাবাক্যের কোনোই সার্থকতা দেখি না। প্রথমত এরূপ ফুৎকার-বায়ুমাত্রে আমরা গবর্মেন্টের পলিসির পালকে এক ইঞ্চিও ফিরাইতে পারিব না। দ্বিতীয়ত দেশের বর্তমান অবস্থায় কোথায় কি হইতেছে তাহ নিশ্চয় জানি বলিলে যে মিথ্যা বলা হয় তাহার সম্পূর্ণ প্রমাণ হইয়া গেছে। অতএব বিপদের সম্ভাবনা স্বীকার করিয়াইআমাদিগকে কাজ করিতে হইবে। দায়িত্ববোধবিহীন লঘু বাক্যের দ্বারা কোনো সত্যকার সঙ্কটকে ঠেকানো যায় না —এখন কেবল সত্যের প্রয়োজন । এখন আমাদের দেশের লোককে অকপট হিতৈষণা হইতে এই কথা স্পষ্ট করিয়া বলিতে হইবে গবর্মেন্টের শাসননীতি যে পন্থাই অবলম্বন করুকু এবং ভারতবর্ষীয় ইংরেজের ব্যক্তিগত:ব্যবহার আমাদের চিত্তকে যেমনি মথিত করিতে থাক্ আমাদের পক্ষে আত্মবিস্তৃত হইয়া আত্মহত্যা করা তাহার প্রতিকার নহে । যে কাল পড়িয়াছে এখন ধৰ্ম্মের দোহাই দেওয়া মিথ্যা । কারণ, রাষ্ট্রনীতিতে ধৰ্ম্মনীতির স্থান আছে এ কথা যে ব্যক্তি সম্পূর্ণ বিশ্বাসে প্রকাশ করে লোকে তাহাকে হয় কাণ্ডজ্ঞানহীন নয় নীতিবায়ুগ্রস্ত বলিয়া অবজ্ঞা করে । প্রয়োজনের সময় প্রবল পক্ষ ধৰ্ম্মকে মান্ত করা কাৰ্য্যহস্তারক দীনতা বলিয়া মনে করে, পশ্চিম মহাদেশের ইতিহাসে তাহার ভূরি ভুরি দৃষ্টান্ত আছে ; তৎসত্ত্বেও প্রয়োজনসাধনের উপলক্ষে যদি দুৰ্ব্বলকে ধৰ্ম্ম