পাতা:রাজা প্রজা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজা প্রজা । 8 למי মানিতে উপদেশ দিই তবে উত্তেজনার অবস্থায় তাহার"উত্তর দেয় এ ত , ধৰ্ম্ম মান নয় এ ভয়কে মান । o অল্প দিন হইল যে বোয়ার যুদ্ধ হইয়াছিল তাহাতে জয়লক্ষ্মী যে । ধৰ্ম্মবুদ্ধির পিছন পিছন চলেন নাই সে কথা কোনো কোনো ধৰ্ম্মভীরু ইংরেজের মুখ হইতেই শুনা গিয়াছে। যুদ্ধের সময় শত্রুপক্ষের মনে ভয় উদ্রেক করিয়া দিবার জন্ত তাঁচাদের গ্রামপল্লী উৎসাদিত করিয়া, ঘর দুয়ার জালাইয়া, খাদ্যদ্রব্য লুটপাট করিয়া নিৰ্ব্বিচারে বহুতর নিরপরাধ নরনারীকে নিরাশ্রয় করিরা দেওয়া যুদ্ধব্যাপারের একটা অঙ্গ বলিয়া । গণ্য হইয়াছে। "মার্শাল ল” শব্দের অর্থই প্রয়োজনকালে দ্যায়বিচারেব বুদ্ধিকে একটা পরম বিঘ্ন বলিয়া নিৰ্ব্বাসিত করিয়া দিবার বিধি এবং : তন্থপলক্ষ্যে প্রতিহিংসাপরায়ণ মানবপ্রকৃতির বাধামুক্ত পাশবিকতাকেই । প্রয়োজনসাধনের সর্বপ্রধান সহায় বলিয়া ঘোষণা করা । পুনিটিভ পুলিসের দ্বারা সমস্ত নিরুপায় গ্রামের লোককে বলপূর্বক ভারাক্রান্ত করিবার নির্বিবেক বর্বরতাও এই জাতীয় । এই সকল বিধির দ্বারা প্রচার করা হয় যে, রাষ্ট্রকার্য্যে বিশুদ্ধ ন্যায়ধৰ্ম্ম প্রয়োজনসাধনের পক্ষে পর্য্যাপ্ত নহে। н যুরোপের এই অবিশ্বাসী রাষ্ট্রনীতি আজ পৃথিবীর সর্বত্রই ধৰ্ম্মবুদ্ধিকে বিষাক্ত করিয়া তুলিতেছে। এমন অবস্থায় যখন বিশেষ ঘটনায় বিশেষ কারণে কোন অধীন জাতি সহসা নিজেদের অধীনতার ঐকাস্তিক মূৰ্ত্তি দেখিয়া সৰ্ব্বাস্তঃকরণে পীড়িত হইয়া উঠে, অথচ নিজেদের সর্বপ্রকার নিরুপায়তার অপমানে উত্তপ্ত হইতে থাকে, তখন তাহাদের মধ্যে একদল অধীয় অসহিষ্ণু ব্যক্তি যখন গোপন পন্থা অবলম্বন করিয়া কেবল ধৰ্ম্মবুদ্ধিকে নহে কৰ্ম্মবুদ্ধিকেও বিসর্জন দেয় তখন দেশের আন্দোলনকারী বক্তাদিগকেই এই জন্ত দায়ী করা বলদৰ্পে অন্ধ গায়ের জোরের মূঢ়তা মাত্র ।