পাতা:রাজা প্রজা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২৩

ר לצ ן האסs •ttי אי করিয়া অতিদূর জাপান পৰ্যন্ত ভিন্নতাৰী অনাস্ত্রীয়দিগন্ধে ধৰ্ম্মসম্বন্ধে ভারতবর্ষের সঙ্গে একাত্ম করিয়া দিয়াছে, ভারতক্ষেত্রে সেই মহৎ শক্তির অভু্যদয় কি কেবল ভারতের ভাগ্যেই পরিণামহীন পওতাতেই পৰ্য্যবসিত হইয়াছে ? তাহার পরে এসিয়ার পশ্চিমতমপ্রাস্তে দৈববলের প্রেরণায় মানবের আর এক মহাশক্তি সুপ্তি হইতে জাগ্রত হইয়া ঐক্যমন্ত্র বহন করিয়া দারুণবেগে পৃথিবী প্লাবিত করিতে বাহির হইল, সেই শক্তিশ্রোতকে বিধাতা যে কেবল ভারতবর্ষে আহবান করিয়াছেন তাহা নহে, এইখানেই তিনি তাহাকে চিরদিনের জন্ত আশ্রয় দিয়াছেন। আমাদের ইতিহাসে এই ব্যাপার কি কোন একটা আকস্মিক উৎপাত মাত্র ? ইহার মধ্যে নিত্যসত্যের কোন চির-পরিচয় নাই ? তাহার পরে য়ুরোপের মহাক্ষেত্রে মানবশক্তি প্রাণের প্রাবল্যে, বিজ্ঞানের কৌতুহলে, পণ্যসংগ্রহের আকাজায় যখন বিশ্বাভিমুখী হইয়া বাহির হইল তখন তাহারও একটা বৃহৎ প্রবল ধারা এই ভারতবর্ষে আসিয়াই বিধাতার আহবান বহন করিয়া আমাদিগকে আঘাতের দ্বারা জাগ্ৰত করিয়া তুলিতেছে। এই ভারতবর্ষে বৌদ্ধধৰ্ম্মের প্লাবন অপসারিত হইয়া গেলে পর যখন খণ্ড খণ্ড দেশের খণ্ড খণ্ড ধৰ্ম্ম সম্প্রদায় বিরোধ বিচ্ছিন্নতায় চতুর্দিককে কণ্টকিত করিয়া তুলিয়াছিল তখন শঙ্করাচাৰ্য্য সেই সমস্ত থগুতা ও ক্ষুদ্রতাকে একমাত্র অথণ্ড বৃহত্ত্বের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ করিবার চেষ্টায় ভারতবর্যের প্রতিভারই পরিচয় দিয়াছিলেন । অবশেষে দার্শনিক জ্ঞানপ্রধান সাধনা যখন ভারতবর্ষে জ্ঞানী অজ্ঞানী অধিকারী অনধিকারীকে বিচ্ছিন্ন করিতে লাগিল—তখন চৈতন্ত, নানক, দাদু, কবীর ভারতবর্ষের ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশে জাতির অনৈক্য শাস্ত্রের অনৈক্যকে ভক্তির পরম ঐক্যে এক করিবার অমৃত বর্ষণ করিয়াছিলেন। কেবলমাত্র ভারতবর্ষের প্রাদেশিক ধর্শগুলির ৰিচ্ছেদক্ষত প্রেমের দ্বারা মিলাইয়া দিতে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন তাঁহা নহে —র্তাহারাই ভারতবর্ষে হিন্দু ও মুসলমান প্রকৃতির মাঝখানে ধৰ্ম্মলেতু