পাতা:রাজা প্রজা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমস্ত । * 8(? জলিয়া মরে, যখন হাতে হাতে অপমানের প্রতিশোধ লওয়ার কাছে মানবধৰ্ম্মের আর কোনো উচ্চতর দাবী তাহার কাছে কোনো মতেই রুচিতে চাহেনা তখন কেবল ইংরেজের রক্তচক্ষু পিনালকোডই ভারতবর্ষে শান্তিবর্ষণ করিতে পারে এত শক্তি ভগবান ইংরেজের হাড়ে দেন নাই । ইংরেজ জেলে দিতে পারে, ফাসি দিতে পারে কিন্তু স্বহস্তে অগ্নিকাণ্ড করিয়া তুলিয়া তার পরে পদাঘাতের দ্বারা তাহা নিবাইয়া দিতে পারে না —যেখানে জলের দরকার সেখানে রাজা হইলেও তাহাকে জল ঢালিতে হইবে । তাহা যদি না করে, নিজের রাজদগুকে যদি বিশ্ববিধানের চেয়ে বড় বলিয়া জ্ঞান করে, তবে, সেই ভয়ঙ্কর অন্ধতাবশতই দেশে পাপের বোঝা স্ত,পাকৃত হইয়া একদিন সেই ঘোরতর অসামঞ্জস্ত একটা নিদারুণ বিপ্লবে পরিণত ন হইয়া থাকিতেই পারে না। প্রতিদিন দেশের অন্তরে অন্তরে যে চিত্তবেদন সঞ্চিত হইয়া উঠিতেছে তাহাকে কৃত্রিম বলিয়া আত্মপ্রসাদশীত ইংরেজ উড়াইয়া দিতে পার—মর্লি তাহাকে না মানাই বাষ্ট্রনীতিক মুবুদ্ধিতা বলিয়া মনে করিতে পার এবং এলিয়ট তাহাকে পরাধীন জাতির স্পৰ্দ্ধামাত্র মনে করিয়া বৃদ্ধ বয়সেও দন্তের উপর দস্তঘর্ষণের কুসঙ্গত চেষ্টা করিতে পার কিন্তু তাই বলিয়া অক্ষমেরও এই বেদনার হিসাব কি কেহই, রাখিতেছে না মনে কর ? বলিষ্ঠ খুন মনে করে যে, নিজের অন্যায় করিবার অবাধ অধিকারকে সে সংযত করিবেন, কিন্তু ঈশ্বরের বিধানে সেই অন্তায়ের বিরুদ্ধে যে অনিবাৰ্য্য প্রতিকার চেষ্টা মানবহৃদয়ে ক্রমশই ধোয়াইয় ধোয়াইয়া জলিয়া উঠিতে থাকে তাহাকেই একমাত্র অপরাধী করিয়া দলিত করিয়া দিয়া সম্পূর্ণ নিশ্চিন্ত থাকিবে তখনই বলের দ্বারাই প্রবল আপনার বলের মূলে আঘাত করে ;—কারণ তখন সে অশক্তকে আঘাত করে না—বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডের মূলে যে শক্তি আছে সেই বজ্ৰশক্তির বিরুদ্ধে নিজের বদ্ধমুষ্টি চালনা করে। যদি এমন কথা তোমরা বল ভারতবর্ষে আজ যে ক্ষোড় নিরস্তুকেও নিদারুণ করিয়া X e