পাতা:রাজা প্রজা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रांजनैौडिग्न विशां । \S)సి অনেক প্রভেদ আছে। এখনকার অপহরণব্যাপারের মধ্যে পুৰ্ব্বকালেৰ সেই নির্লজ্জ অসঙ্কোচ বলদৰ্প থাকিতেই পারে না । এখন নিজের কাজের সম্বন্ধে নিজের চেতনা জন্মিয়াছে সুতরাং এখন প্রত্যেক কাজের জন্য বিচারের দায়িক হইতে হয়। তাহাতে কাজও পূর্কের মত তেমন সহজে সম্পন্ন হয় না এবং গালিও থাইতে হয় । পুরাতন দস্থ্য যদি তুর্ভাগ্যক্রমে উনবিংশ শতাব্দীতে জন্মগ্রহণ করে তবে তাহার আবির্ভাব নিতান্ত অসাময়িক হইয়া পড়ে। সমাজে এরূপ অসাময়িক আবির্ভাব সৰ্ব্বদা ঘটিয়া থাকে। দস্থ্য বিস্তর জন্মে কিন্তু সহসা তাহাদিগকে চেনা যায় না—অকালে অস্থানে পড়িয়া তাহারা অনেক সময় আপনাদিগকেও চেনে না । এদিকে তাহাবা গাড়ি চড়িয়া বেড়ায়, সংবাদপত্র পড়ে, হুইষ্ট খেলে, স্ত্রী সমাজে মধুরালাপ করে, কেই সন্দেহ মাত্র করে না যে, এই শাদা কামিজ কালো কোর্তার মধ্যে রবিন হুডের নব অবতার ফিরিয়া বেড়াইতেছে। যুরোপের বাহিরে গিয়া ইহারা সহসা পূর্ণশক্তিতে প্রকাশিত হইয়া পড়ে। ধৰ্ম্মনীতির আবরণমুক্ত সেই উৎকট রুদ্রমূৰ্ত্তির কথা পূৰ্ব্বেষ্ট বলিয়াছি। কিন্তু যুরোপের সমাজমধ্যেই যে সমস্ত ভন্মাচ্ছাদিত অঙ্গার আছে তাঁহাদেরও উত্তাপ বড় অল্প নহে । ইহারাই আজকাল বলিতেছে, বলনীতির সহিত প্রেমনীতিকে যোগ করিলে নীতির নীতিত্ব বাড়িতে পারে কিন্তু বলের বলা কমিয়া যায় । প্রেম দয়া এসব কথা শুনিতে বেশ-কিন্তু যেখানে আমরা রক্তপাত করিয়া আপন প্রভূত্ব প্রতিষ্ঠিত করিয়াছি সেখানে যে নীতিদুর্বল নব শতাব্দীর স্বকুমারহাদয় শিশু সেণ্টিমেণ্টের অশ্রপাত করিতে আসে তাহাকে আমরা অন্তরের সহিত ঘৃণা করি। এখানে সঙ্গীত সাহিত্য শিল্পকলা এবং শিষ্টাচার, সেখানে উলঙ্গ তরবারী এবং অসঙ্কোচ একাধিপত্য। এই জন্ত আমাদের কর্তৃজাতীয়দের মধ্য হইতে আজকাল দুই মুরের