পাতা:রাজা প্রজা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৮

७२ রাজা প্রজf । এই বিশ্বাসে উত্তর হইতে দক্ষিণে এবং পূর্ব হইতে পশ্চিমে সমস্ত হিন্দুজাতির হৃদয় অলক্ষিতভাবে প্রতিদিন পরম্পর নিকটে আকৃষ্ট হইয়া আসিতেছে। কিন্তু ইহাই যথেষ্ট নহে। আমাদের স্বজাতি এখনও আমাদের স্বজাতীয়ের পক্ষে ধ্রুবআশ্রয় ভূমি হইয়া উঠিতে পারেন নাই। এই জন্ত বাহিরের ঝটিকা অপেক্ষ আমাদের গৃহভিত্তির বালুকাময় প্রতিষ্ঠা স্থানকে অধিক আশঙ্কা করি । থরবেগ নদীর মধ্যস্রোত অপেক্ষ তাহার শিথিলবন্ধন ভগ্নপ্রবণ তটভূমিকে পরিহার করিয়া চলিতে হয়। আমরা জানি, বহুকাল পরাধীনতায় পিষ্ট হইয়া আমাদের জাতীয় মনুষ্যত্ব ও সাহস চুৰ্ণ হইয়া গেছে, আমরা জানি যে, অন্যায়ের বিরুকে যদি দণ্ডায়মান হইতে হয় তবে সৰ্ব্বাপেক্ষা ভয় আমাদের স্বজাতিকে— যাহার হিতের জন্ত প্রাণপণ করা যাইবে সেই আমাদের প্রধান বিপদের কারণ, আমরা যাহার সহায়তা করিতে যাইব তাহার নিকট হইতে সহায়তা পাইব না, কাপুরুষগণ সত্য অস্বীকার করিবে, নিপীড়িতগণ আপন পীড়া গোপন করিয়া যাইবে, আইন আপন বজ্ৰমুষ্টি প্রসারিত করিবে এবং জেলখানা আপন লৌহ বদন বাদন করিয়া আমাদিগকে গ্রাস করিতে আসিবে কিন্তু তথাপি অকৃত্রিম মহত্ত্ব এবং স্বাভাবিক দ্যায়প্রিয়তাবশতঃ আমাদের মধ্যে দুই চারিজন লোকও যখন শেষ পর্য্যন্ত অটল থাকিতে পারিবে তখন আমাদের জাতীয় বন্ধনের স্বত্রপাত হইতে থাকিবে এবং তখন আমরা ন্যায়বিচার পাইবার অধিকার প্রাপ্ত হইব । জানি না হিন্দু ও মুসলমানের বিরোধ অথবা ভারতবর্ষীয় ও ইংরাজের সংঘর্ষস্থলে আমরা যাহা অনুমান ও অনুভব করিয়া থাকি তাহা সত্য কি না, আমরা যে অবিচারের আশঙ্কা করিয়া থাকি, তাহ সমূলক কি না, কিন্তু ইহা নিশ্চয় জানি, যে, কেবলমাত্র বিচারকের অনুগ্রহ ও কর্তব্যবুদ্ধির উপর বিচারভার রাখিয়া দিলে স্ববিচারের অধিকারী হওয়া যায় না । ब्रांजङङ्ग बङहे उंद्रङ इसैंकू @खांन्न अदह निउांढ श्रदनङ शहेरण cन