পাতা:রাজা প্রজা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭০

(28 রাজা প্রজা | উচ্ছসিত, ন দুৰ্ব্বিসহ স্পদ্ধ হইতে উদগীরিত তাহার বিচারের ভার র্তাহাদেরই হস্তে, এবং তাহার বিচারের ফল নিতান্ত সামান্য নহে । আমি বিদ্রোহী নহি, বীর নহি, বোধ করি নিৰ্ব্বোধও নহি। উস্তুত রাজদগুপাতের দ্বারা দলিত হইয়া অকস্মাৎ অপঘাত মৃত্যুর ইচ্ছাও আমার নাই ; কিন্তু আমাদের রাজকীয় দগুধারী পুরুষটি ভাষার ঠিক কোন সীমানায় ঘাটি বাধিয়া চুপ করিয়া বসিয়া আছে তাহ আমি স্পষ্টরূপে জানি না,—এবং আমি ঠিক কোনখানে পদার্পণ করিলে শাসনকৰ্ত্তার লগুড় আসিয়া আমাকে ভূমিশায়ী করিবে তাহ কৰ্ত্তার নিকটও অস্পষ্ট, সুতরাং স্বভাবতই তাহার শাসনদণ্ড আক্ৰমানিক আশঙ্কাবেগে অন্ধভাবে পরিচালিত হইয়া দণ্ডবিধির ন্যায়সীমা উলঙ্ঘন পুৰ্ব্বক আকস্মিক উল্কাপাতের দ্যায় অযথাস্থানে দুৰ্ব্বলজীবের অন্তরিক্রিয়কে অসময়ে সচকিত করিয়া তুলিতে পারে। এমনস্থলে সৰ্ব্বতোভাবে মূক হইয়া থাকাই স্ববুদ্ধির কাজ, এবং আমাদের এই দুর্ভাগ্য দেশে অনেকেই কৰ্ত্তব্যক্ষেত্র হইতে যথেষ্ট দূরে প্রচ্ছন্ন থাকিয়া সেই নিরাপদ সদৃদ্ধি অবলম্বন করবেন তাহারও দুই একটা লক্ষণ এখন হইতে দেখা যাইতেছে,-আমাদের দেশের বিক্রমশালী বাগী যাহারা বিলাতী সিংহনাদে শ্বেতদ্বৈপায়নগণের চিত্তেও সহসা বিভ্রম উৎপাদন করিতে পারেন তাহাদের অনেকে বিবর আশ্রয় করিয়া বাকুরোধ অভ্যাস করিতে বসিবেন দেশের এমন একটা দুঃসময় আসন্ন ;–সে সময়ে দুর্ভাগ্য দেশের নির্বাক্ বেদনা নিবেদন করিতে রাজদ্বারে অগ্রসর হইবে এমন দুঃসাহসিক দেশবন্ধু দুর্লভ হইয়। পড়িবে। যদি চ শাস্ত্রে আছে “রাজদ্বারে শ্মশানে চ যস্তিষ্ঠতি স বান্ধবঃ* তথাপি শ্মশান যখন রাজদ্বারের এত অত্যন্ত নিকটবর্তী হইয়াছে তখন ভীত বন্ধুদিগকে কথঞ্চিৎ মার্জন করিতে হইবে। _ অবগু, রাজা বিমুখ হইলে আমরা ভয় পাইব না আমাদের এমন । স্বভাবই নহে কিন্তু রাজা যে কেন আমাদের প্রতি এতটা ভয় প্রকাশ