পাতা:রাজা প্রজা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অত্যুক্তি। ፃ ፃ ভক্তি করিব কাহাকে, তাহার ঠিকানা নাই। আইনের বইকে, না, কমিশনর-সাহেবের চাপরাশকে, না পুলিসের দারোগাকে ? গবমেণ্ট আছে, কিন্তু মানুষ কই ? হৃদয়ের সম্বন্ধ পাতাইৰ কাছার সঙ্গে ? আপিসকে বক্ষে আলিঙ্গন করিয়া ধরিতে পারি না । মাঝে মাঝে অপ্রত্যক্ষ রাজার মৃত্যু বা অভিষেক উপলক্ষ্যে যখন বিবিধ চাদার আকারে রাজভক্তি দোহন করিয়া লইবার আয়োজন হয়, তখন, ভীতচিত্তে, শুস্কভক্তি ঢাকিবার জন্ত অতিদান ও অত্যুক্তির দ্বারা রাজপাত্র কানায় কানায় পূর্ণ করিয়া দিতে হয় । যাহা স্বাভাবিক নহে, তাহাকে প্রমাণ করিতে হইলে লোকে অধিক চীৎকার করিতে থাকে-- এ কথা ভুলিয়া যায় যে, মৃদুস্বরে যে বেমর ধরা পড়ে না, চীৎকারে पठाश 5ांव्र७१ श्ब्रां ऊँष्ठं । ફિર બરે તમામ অত্যুক্তির জন্য আমরা এক দায়ী নই। ইহাতে পরাধীন জাতির ভীরুতা ও হীনতা প্রকাশ পায় বটে, কিন্তু এই অবস্থা টায় আমাদের কর্তৃপুরুষদের মহত্ব ও সত্যামুরাগের প্রমাণ দেয় না । জলাশয়ের জল সমতল নহে, এ কথা যখন কেহ অম্লানমুখে বলে, তখন বুঝিতে হইবে, সে কথাটা অবিশ্বাস্ত হইলেও তাহার মনিব তাহাই শুনিতে চাহে । আজকালকার সাম্রাজ্যমদমত্ততার দিনে ইংরেজ নানাপ্রকারে শুনিতে চায় আমরা রাজভক্ত,– আমরা তাহার চরণতলে স্বেচ্ছায় বিক্রীত । এ কথা জগতের কাছে তাহারা ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত করিতে চাহে । এদিকে আমাদের প্রতি সিকি-পয়সার বিশ্বাস মনের মধ্যে নাই ; এত-বড় দেশটা সমস্ত নিঃশেষে নিরস্ত্র ; একটা হিংস্র পণ্ড দ্বারের কাছে জাপিলে দ্বারে অর্গল লাগানো ছাড়া আর কোন উপায় আমাদের হাতে নাই—অথচ জগতের কাছে সাম্রাজ্যের বলপ্রমাণ উপলক্ষ্যে আমাদের অটল ভক্তি রটাইবার বেলা আমরা আছি ! মুসলমান সম্রাটের সময়