পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

% [ ৯৮ ] লাভ করিয়া স্বীয় পিতা ও পিতৃব্য বৰ্ত্তমানেই রাজা হইয়াছিলেন। যদিও বিক্রমাদিত্যের মৃত্যু পৰ্য্যন্ত তিনি কাৰ্য্যতঃ কিছুই করেন নাই, তথাপি নিজে সনন্দ লাভ করিয়া তিনি আপনাকেই যশোরাধিপ মনে করিয়াছিলেন, তদবধি র্তাহার ক্ষমতাপ্রচারের সূত্রপাত হয় । (৩৬) মনছবদারের সরঞ্জাম প্রাপ্ত হইয়া বাইশ হাজার ফোঁজ সমেত – আইন আকবরীর মনসবদারদিগের তালিকায় প্রতাপাদিত্যের নাম নাই। র্যাহারা বাদসাহের কৰ্ম্মচারীরূপে যুদ্ধবিগ্ৰহ করিতেন তাহারাই মনসবদার হইতেন, প্রতাপাদিত্য মনসবদার ছিলেন না। বাদসাহের নিকট হইতে তিনি রাজ্যের সনন্দ লাভ করিয়া তাহার উপযোগী সন্মানের চিহ্নাদি প্রাপ্ত হইয়াছিলেন বলিয়। বোধ হয়। তিনি বাইশ হাজার ফেীজ দিল্লী বা আগরা হইতে আনেন নাই। স্বীয় রাজ্যমধ্য হইতেই তাহার সৈন্য সংগৃহীত হইয়াছিল। (৩৭) দপ্তর ও মালখানা * * * প্রতাপাদিত্য রাজা হইয়া আসিয়াছেন – বসুমহাশয়ের মতে প্রতাপাদিত্য আগবা হইতে আসিয়াই পিতা ও পিতৃব্যের বিরুদ্ধে দপ্তর ও মালখানা বন্ধ করেন। তিনি যশোর রাজ্যের সনন্দ পাইয়াছিলেন বলিয়া সমস্তই অধিকাৰ করেন। এই সময় হইতে র্তাহার পিতা ও পিতৃব্যের বিরুদ্ধে প্রকাষ্ঠভাবে উত্থান। - (৩৮) আলাপ বিলাপ করিতেছেন—ইহার পর আবার তিনি পিতা ও পিতৃব্যের সহিত মিলন করিয়াছিলেন। সম্ভবতঃ বিক্র মাদিত্য ও বসন্তরায় প্রতাপকে ক্ষমতাশালী মনে করিয়া তাহাকে শাসনের চেষ্টা করেন নাই। (৩৯) বাদসাহের ফরমান * * *. মহারাজা বিক্রমাদিত্যের সম্মুখে ধরিলেন—বিক্রমাদিত্য ও বসন্ত রায় প্রতী