পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ لاه لا ] প্রতাপ অনেক চেষ্টা করিয়াও চাকসিরি পান নাই, সেই জন্য এক প্রবাদের সৃষ্টি হইয়ছে – “সাতরাত পাক ফিরি, তবুও না পাই চাকসিরি।” এই চাকসিরি না পাওয়ায় বসন্তরায়ের প্রতি প্রতাপাদিত্যের বিদ্বেমভাব আরও বৰ্দ্ধিত হয় । বসন্তরায়ের হত্যার পর চাকসিবি তাহাব অধিকারে আসে । (৪৩) যশহরপুরীর দক্ষিণ পশ্চিম ভাগে একস্থান তাহার নাম ধুমঘাট-ধূমঘাট যশোর বা ঈশ্বরীপুরেব অতি নিকট প্রায় পরস্পর সংলগ্ন। এক্ষণে লোকে যে স্থানকে ধূমঘাট বলিয়া নির্দিষ্ট করে, সেই স্থান বর্তমান ঈশ্বরীপুর হইতে ৩৪ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিম । ধূমঘাটের খাল নামে একটি খালও আছে। ঈশ্বরীপুরই বর্তমান যশোব বলিয়া কথিত হইয়া থাকে। সম্ভবতঃ উন্স যশোর নগরের একাংশ হইবে । ঈশ্বরীপুরের উত্তরে যশোর নামে একটি ক্ষুদ্র গ্রামও আছে। Smyth সাহেবের ১৮৫৭ সালের ২৪ পরগণার ও Surveyor General আফিস হইতে প্রকাশিত ১৮৭৪ ও ১৯০২ সালের ২৪ পরগণায় মানচিত্রে ঈশ্বরীপুরেব উত্তরে যশোরের উল্লেখ দৃষ্ট হয়। ঈশ্বরীপুর, যশোর, ধূমঘাট সমস্ত মিলিত হইয়া একটি বিস্তৃত নগররূপে বিদ্যমান ছিল । সুতরাং ধূমঘাটকে যশোর নগরের একাংশ বলা যাইত। ঈশ্বরীপুর ও ধূমঘাট যে পরস্পর সংলগ্ন ছিল, তাহাতে সন্দেহ নাই। কারণ প্রতাপাদিত্য যশোরেশ্বরীর নিকট আপনার রাজধানী স্থাপন করিয়াছিলেন ও তাহার মন্দির নিৰ্ম্মাণ কাইয়া দেন। যশোরেশ্বরী ঈশ্বরীপুরেই অবস্থিতি করিতেছেন। ঈশ্বরীপুরের গড়, রায়ঢ়য়ারী প্রভৃতি রাজধানীরষ্ট অংশ। বেভারিজ সাহেব Chandetal কে ধূমঘাট প্রতিপন্ন করিয়া যশোর ও ধূমঘাটের মধ্যে কিছু দূরত্বের