পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১০৮ ] যশোর প্রদেশের সকলের বিশ্বাস যে, প্রকৃত গোবিনদেবই অধিকারীদিগের গৃহে বিরাজমান, যদিও সংপ্রতি অপহৃত হইয়াছেন। গোবিনদেবের সহিত প্রতাপ উড়িষ্যা হইতে উৎকলেশ্বর নামে শিবলিঙ্গ আনয়ন করিয়াছিলেন বলিয়া কথিত হইয়া থাকে। বসন্তরায় কেয়ার কণাতে র্তাহার প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন। বর্তমান সময়ে উৎকলেশ্বরের কোনই চিহ্ন নাই। মন্দিরের প্রস্তর-ফলকে এই শ্লোকটি দৃষ্ট হয়। “নিমমে বিশ্বকৰ্ম্ম যৎ পদ্মযোনিপ্রতিষ্ঠিতম্। উৎকলেশ্বরসংজ্ঞঞ্চ শিবলিঙ্গমমুত্তমম্। প্রতাপাদিত্যভূপেনানীতমুংকলদেশতঃ । ততো বসন্তরায়েন স্থাপিতং সেবিতঞ্চ তৎ ॥’ (৪৭) অদ্য পর্য্যন্ত অতীতদের স্থিতি—বস্থমহাশয়ের সময়ে ধূমঘাট বা যশোরের অতিথিশালা বিদ্যমান ছিল কিনা বলা যায় না। প্রতাপাদিত্যের ধ্বংসের পর হইতে ঐ সমস্ত স্থান নিবিড় অরণ্যে আচ্ছাদিত হইতে আরব্ধ হয়। যদিও ঈশ্বরীপুরে যশোরেশ্বরী অবস্থিতি করিতেছেন, তথাপি তাহার নিকটবৰ্ত্তী স্থানসমূহ মনুষ্যের একরূপ অগম্য। সম্ভবতঃ বসুমহাশয়ের সময়ে প্রাচীন যশোর নগরের কোন কোন অংশ বিদ্যমান ছিল । বর্তমান হাটশালা নামক গ্রামে উক্ত অতিথিশালার স্থান নির্দিষ্ট হইয়া থাকে। (৪৮) এই এই মত ধূমঘাটের পুর—এখানে বস্তমহাশয় ধূমঘাট রাজধানীরই বিবরণ শেষ করিতেছেন। ফলতঃ যশোর ও ধূমঘাট পরস্পর সংলগ্ন হওয়ায় তিনি কখনও যশোর কখনও বা ধূমঘাট বলিতেছেন। বর্তমান ঈশ্বরীপুরের উত্তর সংলগ্ন স্থানকে এক্ষণেও যশোর কহে। ঈশ্বরীপুরের চতুৰ্দ্দিকে প্রতাপাদিত্যের কীৰ্ত্তির ভগ্নাবশেষ এখনও বিদ্যমান। ধূমঘাট যশোরের দক্ষিণ পশ্চিম ভাগেই অবস্থিত, বসুমহাশয়ও