পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ **२ ] আজিম খাঁ কর্তৃক তাহার দমন ও জেসুইট পাদরীগণের বিবরণ হইতে জান, যায়। বিশেষতঃ বসন্তরায়কে হত্যা করার পূৰ্ব্বেই তিনি রাজ্যেশ্বর হইয়াছিলেন, তবে বসন্তরায়কে নিহত করিয়া তিনি র্তাহার রাজ্যাংশ করতলগত করিয়া সৰ্ব্বেসৰ্ব্ব হইয়াছিলেন । বসন্তরায়ের হত্যাসম্বন্ধে আমল পরে উল্লেখ করিতেছি। (৫৫) ধূমঘাট পঞ্চক্রোণি—বস্থমহাশয় এক্ষণে ধূমাটকে পঞ্চক্রোশ বিস্তৃত বলিতেছেন, বাস্তবিক যশোরে ও ধূমঘাট উভয়ে মিলিত হইয় যে একটি বিস্তৃত নগর ছিল তাহাতে সন্দেহ নাই। তাহদেব বিস্তৃতির পরিমাণ এক্ষণে বুঝিবার উপায় নাই। তথাপি ঈশ্বরীপুরের নিকটে বহু দূর লইয়া নানারূপ চিহ্ন দেখিয়া বোধ হয় যে, তাহাদের পঞ্চক্রোশি হওয়া নিতান্ত অসম্ভব নহে। (৫৬) ঠাকুর তর্কপঞ্চানন ভট্টাচাৰ্য্য—ইহার নাম ক্রঃ তর্কপঞ্চানন, ইহার কাশুপগোত্রীয় চট্টোপাধ্যায়। তর্কপঞ্চানন যশোর রাজবংশের গুরু ছিলেন। র্তাহার কনিষ্ঠ ভ্রাত চণ্ডীবর উক্ত বংশের পৌরহিত্য কার্য্যে নিযুক্ত হন। কাশুপগণ এক্ষণে চব্বিশ পরগণ জেলার বাদুড়িয়ার নিকট আঁধারমাণিকে বাস করিতেছেন। তর্কপঞ্চানন বসন্তরায়ের দক্ষিণহস্তস্বরূপ ছিলেন। প্রতাপও তাহাকে যথেষ্ট শ্রদ্ধ করিতেন। তর্কপঞ্চানন ও বসন্তরায়ের সম্বন্ধে একটি কবিতা এইরূপ প্রচলিত আছে। ইহা কোন পৰ্য্যটক কবির রচিত বলিয়া প্রকাশ — “যশোহরপুরী কাশী দীর্ঘিক মণিকর্ণিক। তর্কপঞ্চাননে ব্যাসঃ বসন্তঃ কালভৈরবঃ ॥” (৫৭) বাঙ্গলা বেহার উড়িষ্যার কতক আসাম * * * বারোজনের অধিকার—বার ভুইয়ার উৎপত্তি বহু দিন হইতে বঙ্গদেশে হইয়াছিল, এবং বার ভুইয়ার রাজ্য যে আসাম পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত হয়।