পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

J לכל ] নাই। জেসুইট পাদরীগণের বিবরণ অবলম্বন করিয়া ভুজারিক যে গ্রন্থ প্রণয়ন করিয়াছেন, তাহাতে, পাশা প্রভৃতির গ্রন্থে ও মুসলমান ঐতিহাসিকদিগের বিবরণে দৃষ্ট হয় যে, কেদার রায়ের সহিত আরাকানরাজ ও মানসিংহের যুদ্ধ হইয়াছিল। প্রতাপাদিত্যের সহিত যুদ্ধের কোনই কথা নাই, এবং জেসুইট পাদরীগণ প্রতাপাদিত্য ও কেদার রায় উভয়কেই তুল্য ক্ষমতাশালী বলিয়াছেন। মানসিংহ ১৬০২-৩ খৃঃ অব্দে প্রথমে কেদার রায়কে আক্রমণ করেন, কিন্তু তাছাতে সম্যকৃরূপ কৃতকাৰ্য্য হইতে না পারিয়া ১৬০৪ খৃঃ অব্দে পুনরাক্রমণে র্তাহাকে পরাজিত ও বন্দী করেন, পবে কেদার রায়ের মৃত্যু ঘটে। উপক্রমণিকায় ইহা বিস্তৃত ভাবে বর্ণিত হইয়াছে। সুতরাং যে কেদার রায় মৃত্যু পৰ্য্যন্ত অসীম ক্ষমতাশালী ছিলেন, প্রতাপাদিত্য র্তাহাকে যে পরাজিত করিতে পারিয়াছিলেন, এরূপ বোধ হয় না, অন্ততঃ সে সম্বন্ধে কোনই ঐতিহাসিক প্রমাণ নাই। তাহাব পর অন্ত হিন্দু ভুইয়া রামচন্দ্র রায়ের বিবরণ পরবর্তী টিপ্পনীতে উল্লিখিত হইতেছে। (৬৮) রামচন্দ্র বাকলাওয়ালা ভুইয়া দেশান্তরি হইল—প্রতাপাদিত্য রামচন্দ্রের রাজ্য অধিকার করিতে পারিয়াছিলেন কি না তাহারও সুস্পষ্ট প্রমাণ নাই। ডুজারিকের গ্রন্থ হইতে জানা যা যে, রামচন্দ্র স্বীয় রাজ্য হইতে অনুপস্থিত থাকায় আরাকানরাজ তাহাব রাজ্য অধিকার করিয়া লন, এবং পাছে তিনি যশোর পর্য্যন্ত ধাবিত হন, এই আশঙ্কায় প্রতাপাদিত্য র্তাহাকে সস্তুষ্ট করিবার জন্ত আরাকানরাজের শক্ৰ পৰ্টুগীজ বীর কার্ভালোর হত্য সম্পাদন করেন। সম্ভবতঃ এই সময় রামচন্দ্র বিবাছার্থে যশোরে সমাগত হইয়াছিলেন, এবং বিবাহের পরও কিছু কাল তথায় অবস্থিতি করিয়াছিলেন। কি প্রকারে প্রতাপাদিত্য র্তাহাকে হত্যা করিয়া তাহার রাজ্য অধিকারের চেষ্টা করিয়াছিলেন, তাহ বল্পমহH