পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১২৯ } (৭৮) হিজলীর উপরে চড়াই করিল ৪ x & তাহাকে করতল করিল—বস্থমহাশয় ইশাখাকে মছন্দরী উপাধিযুক্ত করিয়া তাহাকে হিজলীর অধিপতি করিতেছেন, এবং বসন্তরায়ের পুত্রদিগকে প্রতাপের নিকট হইতে কৌশলে লইয়া যাওয়ায় প্রতাপ হিজলী অধিকার করিয়াছিলেন বলিয়া উল্লেখ করিতেছেন। আমরা বরাবর বলিয়া আসিয়াছি যে, হিজলীর মসনদ আলি বংশে ইশাখা নামে কেহই ছিলেন না। হোসেনখার রাজত্বকালে র্তাজখ মসনদ আলি ও তাহার ভ্রাত সেকেন্দর পালোয়ান হিজলী অধিকার করেন। বাদসাহী সেনাদের সহিত যুদ্ধে তাজখ। পরাজিত পরে নিহত হইলে, তাহার পুত্র বাহাদুরখী আক্রমণকারীদিগের সহিত সন্ধি করিয়া হিজলীর অধিকার করেন। কিন্তু তাহার ভগিনীপতি জাইলখা তাহার নামে অভিযোগ উপস্থিত করিয়া বাহাদুরকে বন্দী করাইয়া কিছুকাল হিজলী অধিকার করিয়াছিলেন। তাহার পর বাহাদুর পুনৰ্ব্বার হিজলীর অধিপতি হন ও ১৫৮৪ খৃঃ অন্দ পর্য্যন্ত হিজলীর অধিকার ভোগ করেন। তাতার পর তাহার হিন্দুকৰ্ম্মচারিদ্বয় দেওয়ান ও সরকার হিজলীকে জালামুঠ ও মাজনামুঠা নামে বিভক্ত করিয়া তাঙ্গর অধিকার লাভ করেন। সুতরাং দেখা যাইতেছে যে, হিজলীর মসনদ আলি বংশে ইশার্থী নামে কেহই ছিলেন না। তবে কতলুর আত্মীয় খাজা ইশাখা উড়িষ্যার জমিদারী লাভ করিলে যদি তাহাকে হিজলীর ইশাখা বলা হয়, তাহা হইলে বিশেষ কোন আপত্তি থাকিতে পারে না । ইশাখা রসস্তরায়ের সন্তানদিগকে আশ্রয় দিলে প্রতাপাদিত্য র্তাহাকে নিহত করিয়া হিজলী অধিকার কবেন, বসুমহাশয় এরূপ বলিতে চাহেন। কিন্তু খাজা ইশ তৎকালে পাঠানদিগের সর্দার হওয়ায় প্রতাপাদিত্য যে সহসা তাহাকে পরাজিত করিয়াছিলেন, এরূপ বোধ হয় না। তবে প্রতাপাদিত্য যেরূপ পরাক্রমশালী হইয়া উঠিয়াছিলেন, তাহাতে ইশাখার সহিত র্তাহার সংঘর্ষ হওয়া