পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ Σ Οο } অসম্ভব নহে। কিন্তু সেই সময়ে স্বচতুর মানসিংহ বাঙ্গালার স্ববেদারী আসনে উপবিষ্ট থাকিতে প্রতাপাদিত্য কর্তৃক হিজলী বা উড়িষ্যা বিজিত হইলে, তিনি যে নিশ্চিন্ত ছিলেন, এরূপ মনে হয় না। তাহা হইলে তিনি তৎক্ষণাৎ অসীমক্ষমতাশালী প্রতাপের ক্ষমতাসঙ্কোচের প্রয়াস পাইতেন। এই জন্য প্রতাপাদিত্য কর্তৃক ইশাখার পরাজয়ের ঐতিহাসিকত্ব সম্বন্ধে বিশেষরূপ সন্দেহ উপস্থিত হয়। (৭৯) বাঙ্গালা ও বেহার সমস্তই প্রতাপাদিত্যের অধিকার—বসন্তরায়ের মৃত্যুর পর হইতে যে প্রতাপাদিত্য প্রবল হইয়া উঠেন ইহাই প্রকৃত বলিয়া বোধ হয়। যশোরের ঘটকগণ বলেন – “যুগযুগেষু চন্দ্রেচ শকে হত্বা বসন্তকং। প্রতাপাদিত্যনামাসে জায়তে নৃপতিম হান।” কিন্তু তিনি বাঙ্গলার সমস্ত ও বিহার পর্য্যন্ত যে অধিকার করিয়াছিলেন ইহার কোনই ঐতিহাসিক প্রমাণ নাই। (৮০) প্রতাপাদিত্য একছত্রী রাজা দিল্লীতে কর দেয় না—আমাদের বিবেচনায় প্রতাপাদিত্য ১৬০৪ খৃঃ অদ হইতে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা অবলম্বন করেন। আমরা দেখিতে পাই যে, সেই সময়ে মানসিংহ বাঙ্গলা পরিত্যাগ করিয়া আগরায় গমন করেন, এবং বিহারের শাসনকর্তা মির্জা জাফরবেগ আসফখার প্রতি বাঙ্গল শাসনেরও ভার অপিত হয়। তিনি বিহারে অবস্থিতি করিতেন বলিয়, প্রতাপাদিত্যের স্বাধীনতা অবলম্বনের সুযোগ ঘটিয়াছিল। এসম্বন্ধে উপক্রমণিকায় বিস্তৃত ভাবে আলোচনা করা হইয়াছে। (৮১) পাটনা অবধি * * * মুরচাবন্দি করিয়া আছেএখানেও বসুমহাশয় প্রতাপাদিত্যের পাটন পৰ্য্যন্ত অধিকারের কথা