পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

! రిల } হইয়াছে নে, প্রতাপাদিত্য আজিম খাঁর রাজত্ব সময়ে সৰ্ব্ব প্রথমে স্বাধীনত অবলম্বনের চেষ্টা করিয়াছিলেন। কুলাচাৰ্য্যদিগের গ্রন্থেও আজিম থৰ সহিত প্রতাপাদিত্যের যুদ্ধের কথা আছে। যদিও তাহারা ভ্রমক্রমে প্রতাপাদিত্য কর্তৃক আজিম খাঁর নিহত হওয়ার কথা উল্লেখ করিয়াছেন। তাহা হইলে বসুমহাশয়ের উক্তি প্রকৃত হইলে আমরা এই স্থির করতে পারি যে, আজিম খাঁ ১৫৮২ হইতে ১৫৮৪ খৃঃ অব্দের মধ্যে ইব্রাহিম খাকে প্রথমতঃ প্রতাপাদিত্যের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেন। সম্ভবতঃ ইব্রাহিম খ প্রতাপাদিত্যকে সম্পূর্ণরূপে দমন করিতে পারেন নাই। কারণ, কুলাচার্যদিগের উক্তি অনুসারে ও চাচড়ার রাজবংশের প্রামাণ্য কাগজপত্রানুসারে আজিম খাঁ স্বয় ও প্রতাপাদিত্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করিয়াছিলেন বলিয়া জানা যায়। তাহা হইলে এইরূপ অনুমান হয় যে, ইব্রাহিম খা সম্যকৃরূপে কৃতকাৰ্য না হওয়ায়, আজিম খাঁ স্বয়ং প্রতাপের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্র করিয়া র্তাহাকে দমন করিয়াছিলেন। উপক্রমণিকায় এই বিষয়ের বিস্তৃত আলোচনা করা হইয়াছে। বসুমহাশয়ের লিখিত আবরাম খাঁ সেখ ইব্রাহিম হইলে তিনি জাহাঙ্গীরের সময়ে কদাচ প্রেরিত হন নাই । (৮৬) রাজমহালের সেমা—প্ৰতাপের বিরুদ্ধে সেখ ইত্ৰ হিমের যুদ্ধ যাত্রা করা স্থির হইলে, প্রতাপের সেনার রাজমহলে উপস্থিত হওয়া সম্ভব বলিয়া বোধ হয় না। কারণ তাহার নিকটে টাড়ায় তখন বাঙ্গালার রাজধানী স্থাপিত ছিল। সে সময়ে রাজমহলের নামকরণ হয় নাই, তাহার নাম আগমহল ছিল, মানসিংহ তাহাকে রাজমহল আখ্যা প্রদান করেন। সেখ ইব্রাহিম না হইয়া জাহাঙ্গীরের প্রেরিত কোন সেনাপতি হইলে সে সময়ে বাঙ্গালার রাজধানীতে কোন শাসনকৰ্ত্ত না থাকায় ও বিহারের শাসনকৰ্ত্তার প্রতি বাঙ্গালার শাসনভার প্রদত্ত হওয়ার প্রতাপের কতক সেমাধা লোক রাজমহল পৰ্যন্ত অগ্রসর হইতেওঁ পারে।