পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/১৫৭

( )6) } কপিলেন। পরে পুরী (জগন্নাথ ) আসিয়া জগন্নাথদেবের যথাবিধি পূজা ও স্থাপন করাইলেন। অনন্তর উমরের সহিত যুদ্ধ করিয়া তাহাকে বধ করিয়া জয়লাভ করিলেন। পরে মীর গিয়া তথায় যুদ্ধ করিয়া জয়লাভ করিলেন ও মীর অধিকার করিলেন। অনন্তর কুতল নামক স্থানে হাকীম ছিল, তথায় গিয়া তাহাকে যুদ্ধে বধ করিয়া ঐ স্থান অধিকার করিলেন। এইরূপে সমস্ত পূৰ্ব্বঞ্চলে তাহার ( মানসিংহের ) অধিকার স্থাপিত হইল। পূৰ্ব্বদেশে ঈশন র্যা নামক পাঠান ছিল, তাহার সহিত যুদ্ধ হইল, এবং সে পলাইয়া গেল । পরে (মানসিংহ) জাহাজে চড়িয়া সমুদ্র পার হইলেন, এবং তথা হইতে ষাট ক্রোশ পথ অতিক্রম করিয়া ব্ৰহ্মপুত্র অঞ্চলে গেলেন । তথায় রাজা পবতপদীপের সহিত যুদ্ধ হইল ও বিজয় লাভ করিলেন এবং পরতাপদীপের যে গড় ছিল তাহা দখল করিয়া লইলেন। তাহাতে মানসিংহের পুত্র দুর্জন সিংহ মারা পড়েন। জগৎ সিংহ ( জ্যেষ্ঠ পুত্র ) আহত হয়েন। আর রায় পরতাপদীপের অধীনে তের শত হাতী এবং সৈন্ত সরঞ্জাম অনেক ছিল ; ইহার সহিত যুদ্ধে জয়লাভ করিলেন। অনন্তর ঐ দিকে কেদার কায়েতের রাজ্য ছিল, তিনি রাজা নামে অভিহিত হইতেন। র্তাহার নিকট শিলামাতা ছিলেন। সেই শিলামাতার প্রভাবে তাহাকে (কেদারকে ) কেহই জয় করিতে পারিত না । এজন্য মানসিংহ জিজ্ঞাসা করিলেন, “ইহার এত প্রতাপের কারণ কি ?” নিবেদন করা হইল, “ইহার প্রতাপের হেতু শিলামাতা।” ইহা গুনিয়া মাতাকে প্রসন্ন করিবার জন্য রাজা মানসিংহ হোম প্রভৃতি করাইলেন, তাহাতে মাত প্রসন্ন হইলেন, কেদার রাজার সহিত মাতার এই অঙ্গীকার ছিল যে, তুমি যখন নিজ হইতে বলিবে “তুই যা তখনি যাইব । একদিন রাজা পূজায় বসিয়াছিলেন, তাহার এক কস্তার রূপ ধারণ করিয়া দেবী