পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৫৩ ] উপরোক্ত বর্ণনা হইতে জানা যায় যে, শিলাদেবী প্রতাপাদিত্যের নিকট ছিলেন না কিন্তু কেদার রায়ের নিকটেই অবস্থিতি করতেন। উক্ত বংশাবলীর বর্ণনায় কোন কোন অংশ ইতিহাসবিরুদ্ধ আছে, যথা প্রতাপাদিতার যুদ্ধে দুর্জন সিংহের মৃত্যু ইত্যাদি। দুৰ্জ্জন সিংহ ইশা খাব সহিত যুদ্ধে নিহত হন। প্রতাপাদিত্যের পর কেদার বায়ের পরাজয়ও প্রকৃত নন্তে । কেদার রায় ১৬০২-৩থুঃ অব্দে পরাজিত, আহত, বন্দী ও অবশেষে মৃত্যুমুখে পতিত হন। তাহার সহিত মানসিংহেব সন্ধিও প্রকৃত নহে, সুতরাং তাহার কন্যার সহিত মানসিংহের বিবাহ কতদূর সত্য আমরা বলিতে পারি না, তবে কেদার রায়ের পতনের পর যদি তাহা হইয় থাকে তাহা হইলে তাহ নিতান্ত অসম্ভব বলিয়া বোধ হয় না। প্রতাপাদিত্য ১৬০৬ খৃঃ অব্দে পরাজিত হন। এখানেও শিলাদেবী প্রতাপাদিত্যের কন্যার স্তায় কেদার রায়ের কস্তার আকার ধারণ করিয়া তাহার সম্মুখে উপস্থিত হইতেছেন। এক্ষণে শিলাদেবী ও যশোরেশ্ববী এক কি ন| তাহাই বিবেচ্য। ভারতচন্দ্রের উক্তি হইতে শিলাদেবী ও যশোরেশ্বরীকে এক বলিয়াই বোধ হয়। যথা— “শিলাময়ী নামে ছিল তার ধামে অভয়া যশোরেশ্বরী। পাপেতে ফিরিয়া বসিল রুষিয়া তাহারে অকৃপা করি ॥” অথচ শিলাদেবীর বঙ্গদেশ হইতে গত পুরোহিতবংশীয়গণ আপনাদের বংশাবলীতে র্তাহাদের দেবতাকে কেদার রায়ের প্রতিষ্ঠিত বলিয়া পরিচয় দিতেছেন। উক্ত পুরোহিত বংশীয়গণ পাশ্চাত্য বৈদিক, কিন্তু যশোর প্রদেশের পাশ্চাত্য বৈদিকেরা কদাচ পৌরহিত্য বা পুজারীর কার্য্য করেন না। ইহাতেও সন্দেহ উপস্থিত হয়। তদ্ভিন্ন ঘটককারিকা, বসুমহাশয়ের গ্ৰন্থ, ক্ষিতীশবংশাবলী, এমন কি অন্নদামঙ্গলেও যশোরেশ্বরীকে মানসিংহ কর্তৃক লইয়া যাওয়ার প্রসঙ্গই নাই। ঘটককারিকায় প্রতাপাদিত্য ব্রাহ্মণ