পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/১৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৬৫ ] উল্লেখ আছে। তাহার পর পরগণা নুরনগরের স্বষ্টি হয়। কেহ কেহ এই ৰূপ অনুমান করিয়া থাকেন যে, যশোরের প্রসিদ্ধ ফৌজদার নূরউল্লা খার নামানুসারে উক্ত পরগণার নূরনগর নামকরণ হইয়াছে। যশোর বা ঈশ্বরীপুর নকীপুর পরগণার অন্তর্গত। (১১০) তাহারাই যশোহর সমাজের গোষ্ঠীপতি— বহুমহাশয় শু্যামসুন্দর রায়ের সস্তানদিগকে কেবল গোষ্ঠীপতি বলিয়াছেন, কিন্তু নীলকণ্ঠের সন্তানগণও গোষ্ঠীপতি এবং তাহারাই আদি গোষ্ঠীপতি । " বসন্তরায়ের সন্তানদিগের অবস্থা হীন হইতে আরম্ভ হইলে, যশোর সমাজে নানা রূপ বিশৃঙ্খল উপস্থিত হয়। খৃষ্টীয় সপ্তদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে মরউল্লা খ যশোরের ফৌজদারী পদে নিযুক্ত ছিলেন। তাহার দেওয়ান সুপ্রসিদ্ধ রামভদ্র রায় চন্দ্রদ্বীপের র্কাচবেলিয়া গ্রাম হইতে যশোরে আগমন করিয়া অন্তান্ত অনেক স্থানে বাসের পর অবশেষে পুড়ায় আপন আবাসস্থান স্থাপন করেন। * রামভদ্র ফৌজদারের দেওয়ান হওয়ায় অত্যন্ত ক্ষমতাশালী হইয়া উঠেন। তিনি অনেক পরগণা হইতে কতকগুলি ভাল ভাল মৌজা গ্রহণ করিয়া আমীরাবাদ নামক পরগণার স্বষ্টি করিয়া তাহারই অধিকারিত্ব লাভ করেন। আমীরাবাদ পরগণা সরফরাজপুবেই একাংশ । বিপুল অর্থশালী হইয়া তিনি একটি নূতন সমাজ গঠনে উদ্যোগী হন, এবং তজ্জন্ত চন্দ্রদ্বীপ হইতে প্রধান প্রধান কুলীন কায়স্থদিগকে মানাইয়া পুড়ায় বাস করাইতে আরম্ভ করেন। কিন্তু থোড়গাছিন্থ নীলকণ্ঠ বাঘের সন্তানদিগের অনুরোধে তিনি নূতন সমাজ গঠনে ক্ষান্ত হন। • “রমাকান্ত গুহশ্চৈব রামভদ্রাথ্যরায়কঃ । বিশ্বেশ্বরগুহ এতে শ্ৰীকৃষ্ণগুহপুত্ৰকাঃ। যশোহরে পুরানামগ্রাম আসন্নিবাসনং।” ( কুলাচাৰ্য্যকারিক। কায়স্থবংশাবলী । )