পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/১৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ )న) } হয়৷ অপূৰ্ব্ব সৌরভে দিগন্ত আমোদিত করিয়া তুলিয়াছিল। ফারসী ও আরবীর দুই একটি ক্ষুদ্র জলকণা তাহদের শাখা প্রশাখায় যে নিপতিত হয় নাই এমন নহে, কিন্তু তাহারা যে অমৃতক্ষরণে অঙ্কুরিত, বদ্ধিত, ও সঞ্জীবিত হইয়াছিল, তাহারই পুনঃ পুনঃ সেচনে তাহারা নবকিসলয় ও কুসুমস্তবকে অপূৰ্ব্ব শোভশালিনী হইয়া উঠে। বঙ্গসাহিত্য-কাননের গল্পতরু কিন্তু এই অমৃতসেচন হইতে বঞ্চিত হইয়াছিল। কিন্তু যাহার কমনীয় হস্তে গদ্যতর প্রথমে বঙ্গসাহিত্য-কাননে আশ্রয় লাভ করিতে আরম্ভ করে, তিনি ক্রমে ক্রমে তাহাকে অমৃতক্ষরণে সঞ্জীবিত করিতে প্রবৃত্ত হন। রাজা রামমোহন রায়ের রচিত যে সমস্ত গ্রন্থ পরিশেষে মুক্তি হয়, তাহাতে আমরা সংস্কৃতবাহুল্যই দেখিতে পাই, কিন্তু বাঙ্গলা গন্ত তখনও ফারসীর আদর্শ ত্যাগ করিতে পারে নাই। রাজা রামমোহন রায় ফারসী ও আরবীতে বিশেষরূপ দক্ষ ছিলেন, সংস্কৃতেও তাহার অগাধ পাণ্ডিত্য ছিল। তিনি প্রথমে ফারসী রচনা আরম্ভ করিয়াছিলেন, পরে বাঙ্গল গদ্য রচনায় মনোনিবেশ করেন। এই জষ্ঠ তাহার গদ্য ফারসীর আদর্শ একেবারে পরিত্যাগ করতে পারে নাই, কিন্তু তিনি তাহাকে সংস্কৃতশব্দবহুল করিতে চেষ্টা করিয়াছিলেন। রাজার যেরূপ সংস্কৃত ভাষায় অধিকার ছিল, তাহার ছাত্র বসুমহাশয়ের সেরূপ ছিল বলিয়া বোধ হয় না। যদিও কেরী মহোদয় তাহার সংস্কৃত জ্ঞানের বিষয়ও উল্লেখ করিয়াছেন, তথাপি আরবী ও ফারসী যে র্তাহার প্রিয় ছিল ইহা স্পষ্টই বুঝিতে পারা যায়। তাহার ফলে আমরা দেখিতে পাই যে, রাজ্য প্রতাপাদিত্যচরিত্র ফারসী ও আরবী শব্দবাহুল্যে এক বিচিত্র বাঙ্গল। ভাষা হইয়া উঠিয়াছে। বসুমহাশয় এরূপ ভাষায় গ্রন্থপ্রণয়ন আরম্ভ কবিলেন কেন ? এই বিষয়ের আলোচনা করিলে আমরা জানিতে পারি যে, প্রথমত্তঃ তৎকালে সাধারণ কথাবার্তার মধ্যে অনেক ফারসী ও আরবী