পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २०७ } মহাশয়ের বাসুদেব-চরিত * ও বেতালপঞ্চবিংশতি প্রভৃতি এই ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের জন্য লিখিত হয় । । এইরূপে ফোর্ট উইলিয়ম কলেজ হইতে বাঙ্গলা গদ্যরচনার স্বত্রপাত ও প্রচার আরব্ধ হয়, এবং সেই সঙ্গে রাজা রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলীও প্রকাশিত হইয়া বঙ্গভাষাকে দিন দিন পরিপুষ্ট করিতে আরম্ভ করে। বামমোহন ও রামরাম বস্থ প্রভৃতি কুঠার কুদাল হস্তে যে পথ পরিষ্কার করিয়া গিয়াছেন, আজ ঈশ্বরচন্দ্র, অক্ষয়কুমার, বঙ্কিমচন্দ্র, কালীপ্রসন্ন, চন্দ্রশেখর, রজনীকান্ত ও পরিশেষে রবীন্দ্রনাথের বর্ষিত কুম্নমস্তবকে তাহা । কোমল ও মুখগম্য হইয়া উঠিয়াছে। আজ বাঙ্গল সাহিত্য-কাননে ঐ সমস্ত মনীষিগণের রোপিত নবকিসলয় ও কুসুমপুঞ্জশোভিত গদ্যতরুনিকর বহুযুগ্রজাত কবিতা লতার সহিত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রবৃত্ত হইয়াছে। শত বৎসরে বঙ্গ সাহিত্য-কানন যেরূপ নবীনশ্ৰী লাভ করিয়াছে, তাহা জগতের অনেক সাহিত্য-কাননে দেখিতে পাওয়া যায় না। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠার সহিত সাধারণের মধ্যে সংস্কৃত ও পাশ্চাত্য ভাষার শিক্ষা প্রচার বাসুদেব চরিত কলেজের কর্তৃপক্ষগণ কর্তৃক অনুমোদিত না হওযায় তাহ পঠিত হয নাই । ( বিহারীলালের বিদ্যাসাগব দেখ ) + এই প্রবন্ধ লেগ শেষ হইলে বসু মহাশয়েব লিপিমালা পুস্তক আমরা দেখিতে পাই, উঠ হইতে স্পষ্টই বুঝিতে পাবা যায যে, বহু মহাশয় বাজা বামমোহন রায়ের উপদেশেই চালিত হইতেন। লিপিমালার প্রথমে যাহা লিখিত হইয়াছে আমরা তাহ উদ্ধত কবিতেছি । ‘বৃষ্টি স্থিতি প্রলয় কৰ্ত্ত জ্ঞানদ সিদ্ধিদাতা পবম ব্রহ্মের ওদিষ্ঠে নত হইয়৷ প্ৰণাম ও প্রার্থনা করিয়া নিবেদন করা যাইতেছে।” পরম ব্রহ্মের কথা যে রাজা রামমোহন হইতে এদেশে প্রচারিত হয় তাহা সকলেই অবগত আছেন। ১২০৮ সালের ভাদ্র মাসে লিপিমাল লিখিত হয়, তৎসম্বন্ধে বস্ব মহাশয়ের উক্তি এই— | “শতাদিত্য বস্তু বর্ষ পশু শ্রেষ্ট মাস । পরম আনন্দে রাম করিল প্রকাশ —” লিপিমালাতে পত্র লিখনচ্ছলে অনেক পৌরাণিক ও ঐতিহাসিক বিষয়ের অবতারণা কবা হইয়াছে । > 8