পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/২২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

I २२* ] কোন বিষয়ে কিছু বুদ্ধি আইসে না। আমার বল,বুদ্ধি,ভরসা সকলই তোমরা, বৃদ্ধ বিষয়ে যাহা হয় করহ, আমার মত গ্রহণের কোন আবগুক নাই। দাযুদ্ধ ঐ দুই ভ্রাতাকে সমস্ত জ্ঞাত করাইয়া কহিলেন, এক্ষণে আর কোন উপায় নাই, আমার সৈন্ত যে কিছু আছে সমস্তই দিল্লীশ্বরের পথ রোধ করিতে প্রেরণ করহ, আর তোমরা দুই ভাই আমার নিকট থাকহ । আমরা পশ্চাতে থাকিয়া সৈন্তগণের খাদ্য আহরণ ও প্রজাগণের কোন ক্লেশ না হয় এমত করিতে চেষ্ট পাই। গৌড়ে আমার যে কিছু ধন সম্পত্তি । আছে সমুদায় একাদিক্ৰমে তোমাদিগের নূতন বাটতে পাঠাইয়া দাও, সময়ানুসারে আনা যাইবেক । দুই ভাই অতি বিশ্বাস পাত্র ছিলেন একারণ নবাব সোণা রূপ প্রভৃতি ধাতুদ্রব্য ও মণি মুক্ত প্রবালাদি বহুমূল্য যাবদীয় সামগ্ৰী তাহাদিগের হস্তে সমর্পণ করিলেন এবং নগরবাসী লোকেরা ভয়ে পুরাতন বস্ত্র অবধি তাহাদিগের নিকট রাখিলেক,দুই ভাই নৌকাযোগে সমুদায় আপন নগরে পাঠাইলেন, গৌড়ের শোভা আর কিছুই রহিল না কেবল সকলে সামান্ত লোকের স্থায় বাস করিয়া রহিল। গৌড়ের সমুদায় সামগ্ৰী ঐ নূতন নগরে লইয়। দাওয়াতে তথাকার সকল লোক ঐ নগরের নাম যশোহর রাখিল, অদ্যাবধি সেই স্থানকে যশোহর কহে তথাকার নানাজাতীয় মৎস্ত কলিকাতায় আনে সেই মাছের নাম যগুরিয়া । - বাদশাহ সকল সৈন্ত সহিত প্রয়াগে উপস্থিত হইয়া তাহাদিগকে অগ্রসর ইওনের আদেশ করিয়া তথায় অবস্থিতি করিলেন। তৎকালে প্রয়াগে যে দুর্গ প্রস্তুত হইয়াছিল তাহা অদ্যাপি আছে। দিল্লীশ্বরের সৈন্তগণ এক বৎসরের মধ্যে কোন ক্রমে পর পারে আগমনের উপায় না পাইয়া হতাশ প্রাণ হইয়াছিল। দৈবের নির্বন্ধ কে খণ্ডাইতে পারে। এক দিবস ত্ৰিযোগে দাযুদের শিবিরে আত্মবিচ্ছেদ উপস্থিত হওয়াতে সকলে পরস্পর ,