পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २२ ] মারিরাছেন। শ্রবণ করিয়া রাজা বসন্তরায় কুমার বাহাদুরের মুখচুম্বন করিয়া পরমাদরে সম্মান করিলেন তাহাকে এবং ব্যাথা করিয়া মহারাজাব নিকট নিবেদন করিলেন মহারাজা কুমার বাহাদুর সর্ব বিদ্যাতেই নিপুন ইহার তুল্য গুণজ্ঞ বালক আমি দেখি নাই। এ আশ্চৰ্য্য ক্ষমতাপন্ন ইহার অনেক দৈবশক্তি দেবতা ইহাকে প্রসন্ন। এই ২ মতে প্রশংসা করিতেছিলেন। কিঞ্চিত পরে মহারাজা বালক আপন স্থানে বিদায় করিয়া দিলে ভ্রাত বসন্ত রায়কে সাতে করিয়া পূজার অট্টালিকায় নিভৃতি স্থানে গতি করিলেন এবং কহিলেন তাহাকে এই যে আমার বালক ইহাকে তুমি কি জ্ঞান করহ। তিনি প্রত্যুত্তর করিলেন মহারাজা ইহার লক্ষণাপেক্ষণে বুঝা যায় এ অতি উন্নত হবেক দৈবভাগ্য ইহার অধিক জানা যায। এ একটা অতি বড় মানুষ হবেক । মহারাজা কহিলেন সে প্রমাণ হইতে পারে। আমিও বুঝিতে পারি তাহা ভাবিয়া ইহাকে ছোট জ্ঞান করিব না। এ আমার বংশে মহা অসুর অবতার হইয়াছে ইহার কোষ্ঠীতে বলে এ পিতৃদ্রোহী হবেক। তাহ আমাকে কি মারিবেন। আমার প্রায় আথের হইয়া আইল কিন্তু আমার নাম ইহা হইতে লোপ হবেক তোমার সংহারকর্তা এ হবেক ইহার আর সন্দেহ করিও না অতএব আমি বলি এখন সাবধান হও ইহাকে মারিয়া ফেলিলে সকলের আপদ যায় এ কথা অল্প জ্ঞান করিব না এই মত কর নতুবা ইহার ক্রিয়াতে পশ্চাৎ যথেষ্ট নিরামোদ হইবে। o রাজা বসন্তরায় ইহা শ্রবণ করিয়া শোকেতে তাপিত হইয়া দুই চক্ষু আরক্তিমাতে রুদ্যমান হইয়া পুটাঞ্জলি রূপেতে নিবেদন করিতেছেন মহারাজা এ কি আজ্ঞা করেন মহাশয়ের কুমার তাহাতে অতিশয় বিচক্ষণ বালক ইহাকে নষ্ট করা কোন মতেই হইতে পারে না এবং এ আমার