পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/৩৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ ৩৮৯ ] অনুবাদ । খৃষ্টীয় ষোড়শ শতাব্দীতে আকবর বাদসাহের রাজত্বকালে মহারাজ প্রতাপাদিত্য একটি বিশাল নগর নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন। এই নগর তাহার পিতা মহারাজ বিক্রমাদিত্য ও পিতৃব্য রাজা বসন্ত রায় কর্তৃক স্থাপিত হয়। চাদ খা নামে এক ব্যক্তি নিঃসন্তান পরলোকগত হওয়ায় তাহার জায়গীর নবাব দাযুদ্র কর্তৃক সরকারে বাজেয়াপ্ত হওয়ায়, তাহ পুনব্বার বিক্রমাদিত্য ও বসন্ত রায়কে প্রদান করা হয়। এই নগর সেই জায়গীর মধ্যেই প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। উক্ত জায়গীর তৎকালে যশোরেব - মধ্যে ছিল, এক্ষণে ২৪ পরগণার অন্তর্গত সুন্দরবনের মধ্যে অবস্থিত। মহারাজ প্রতাপাদিত্য অত্যন্ত পরাক্রমশালী হইয়া বাঙ্গলা, বিহার, উড়িষ্যা, ও আসামের রাজগণের উপর আধিপত্য বিস্তার করিয়াছিলেন। উত্তরোত্তর এইরূপ জয়লাভে তিনি বাদসাহের অধীনতা অস্বীকার করিয়া করপ্রদানে নিরস্ত হন। বাদসাহ তাহার দমনের জন্য যে সমস্ত সৈন্ত প্রেরণ করিতেন তিনি অনেক দিন পর্য্যস্ত তাহাদিগকে পরাস্ত করিয়াছিলেন । বাদসাহের প্রেরিত প্রথম সেনানীর নাম আবরাম খা । তাহার সৈন্ত মুতলার দুর্গের নিকট ( মাতলা, এক্ষণে ক্যানিং টাউন ) + বিনষ্ট হয়। ক্রমে ক্রমে পঞ্চদিত্য চরিত্র প্রকাশের কথা বলেন। ব্লকম্যান সাহেব ১৫৮৫ খৃঃ অন্ধ প্রভৃতির জলপ্লাবন উল্লেখ করিয়া সুন্দরবন সম্বন্ধে আলোচনা করেন। প্রতাপচন্দ্র ঘোষ মহাশয় সুন্দরবন সম্বন্ধে বিস্তৃত ভাবে আলোচনা করিয়৷ ক্ষিতীশবংশাবলীচরিত ও অন্নদামঙ্গল হইতে প্রতাপাদিত্যের বিবরণ বিবৃত করেন। তিনি বলেন যে, সায়র মুতাক্ষরণে প্রতাপাদিত্যের উল্লেখ আছে, এবং রেণীর বিবরণ হরিশ্চন্দ্র তর্কালঙ্কারের গ্রন্থ হইতে গৃহীত বলিয়৷ প্রকাশ করেন। এই সময়ে বঙ্গাধিপপরাজয় লিখিত হইতেছিল। • অবিরাম খ সম্বন্ধে ( ৮৫ ) "টিপ্পনী ও উপক্রমণিকা দেখ। + রেণী সাহেব মেীতলার গড়কে মুতলার গড় বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন। স্থানটর নাম মেীতল, 'র' ষষ্ঠ বিভক্তির চিহ্ন। বাঙ্গল গ্রন্থে মেীতলার এই ষষ্ঠী বিভক্তিযুক্ত শব্দ দেখিয়৷ তিনি স্থানটাকে মুতলার লিখিয়াছেন। মেীতলা ক্যানিংটাউন বা মাতলা নহে। (৮৭) টিপ্পনী দেখ।