পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/৫০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ৫ ও ৯ ) করিয়া জয়লাভ করিলেন। পরে মীরূ গিয়া তথায় যুদ্ধ করিয়া জয়লাভ করিলেন ও মীর অধিকার করিলেন। অনস্তর কুতল নামক স্থানে হাকীম ছিল, তথায় গিয়া তাহাকে যুদ্ধে বধ করিয়া ঐ স্থান অধিকার করিলেন। এইরূপে সমস্ত পূৰ্ব্বাঞ্চলে তঁহর ( মানসিংহের ) অধিকার স্থাপিত হইল । পূৰ্ব্বদেশে ঈশন খা নামক পাঠান ছিল, তাহার সহিত যুদ্ধ হইল এবং সে পলাইয়া গেল। পরে ( মানসিংহ ) জাহাজে চড়িয়া সমুদ্র পাব হইলেন, এবং তথা হইতে ষাট ক্রোশ পথ অতিক্রম করিয়া ব্ৰহ্মপুত্র অঞ্চলে গেলেন । তথায় - রাজা পরতাপদাপের সহিত যুদ্ধ হইল ও বিজয় লাভ করিলেন এবং পরতাপদীপের যে গড় ছিল তাহ দখল করিয়া লইলেন । তাহতে মানসিংহের পুত্র দুর্জন সিংহ মারা পড়েন। জগৎসিংহ ( জ্যেষ্ঠ পুত্ৰ ) আহত হয়েন। আর রায় পরতপদীপের অধীনে তেব শত হাতী এবং সৈন্ত সরঞ্জাম অনেক ছিল ; ইহার সহিত যুদ্ধে জয়লাভ করিলেন। অনন্তর ঐ দিকে কেদার কায়েতের রাজ্য ছিল, তিনি রাজা নামে অভিহিত হইতেন । র্তাহার নিকট শিলামাতা ছিলেন। সেই শিলাম। তবে প্রভাবে তাহাকে ( কেদারকে ) কেহই জয় করিতে পারিত না । এজন্ত মানসিংহ জিজ্ঞাসা করিলেন, “ইহার এত প্রতাপের কারণ কি ?” নিবেদন করা হইল, “ইহার প্রতাপের হেতু শিলামাতা।” ইহা শুনিয়া মাতাকে প্রসন্ন করিবার জন্য রাজা মানসিংহ হোম প্রভৃতি করাইলেন, তাহাতে মাতা প্রসন্ন হইলেন, কেদার রাজার সহিত মাতার এই অঙ্গীকার ছিল যে, তুমি যখন নিজ হইতে বলিবে “তুই যা” তখনি যাইব । একদিন রাজা পূজায় বসিয়াছিলেন, তাহার এক কন্যার রূপ ধারণ করিয়া দেবী পূজাস্থানে আসিয়া বসিলেন । রাজা তাহাকে আপন কন্যাজ্ঞানে বলিলেন, “তুই যা, আমাকে পূজা করিতে দে, তুই যা।” এইরূপ তিনবার বলিলে মাত৷