পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ १० ] সেলিমাবাদের মধ্যে পাটমহল নামে কোন পরগণাই নাই। রামচন্দ্রের বাসস্থান প্রভৃতি পরবত্তী কালে পাটমহল পরগণা হওয়ায় বসুমহাশয় তাহার পাটমহলে বাস উল্লেখ করিয়াছেন। (৫) সপ্তগ্রাম ঃ—হুগলীর উত্তর পশ্চিম এবং ত্রিশিবিঘা ও মগর ষ্টেশনের নিকট। বাঙ্গলার এই সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ বন্দর এক্ষণে একখানি সামান্ত গ্রামে পর্য্যবসিত। প্রাচীন কাল হইতে খৃষ্টীয় সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগ পৰ্য্যন্ত সপ্তগ্রাম বাঙ্গলার প্রধান বন্দর ছিল। তৎকালে ইহা সরস্বতী নদীতীরে অবস্থিত ছিল। খৃষ্টীয় ষোড়শ শতাব্দীর শেষ ভাগ হইতে সরস্বতী রুদ্ধ-প্রবাহ হওয়ায় ইহার অধঃপতন ঘটে। প্লিনি হইতে প্রথম ইংরেজ পৰ্য্যটক রালফ ফিচ, পৰ্য্যন্ত হইরে উল্লেখ করিয়াছেন। পটুগীজ ও জেস্ব ইট পাদরীগণের বিবরণেও সপ্তগ্রামের উল্লেখ আছে। পৰ্টুগীজগণ ইহাকে পোটো পেকিনো বা ক্ষুদ্র বন্দর বলিতেন। র্তাহাদের মতে চট্টগ্রামই বৃহৎ বন্দর ছিল। এইজন্য তাহাকে পোটো গ্রাণ্ডী বলিতেন। অনেক পারস্ত এবং প্রাচীন বঙ্গল গ্রন্থেও সপ্তগ্রামের উল্লেখ দেখিতে পাওয়া যায়। হিন্দু ও পাঠান রাজত্বকালে ইহা বাঙ্গালার প্রসিদ্ধ বন্দর ও একটি প্রধান নগর ছিল। পাঠানদিগের এক জন প্রধান কৰ্ম্মচারী সপ্তগ্রামে অবস্থিতি করি তেন। মোগলরাজত্বকালে ইহা ধ্বংসমুখে পতিত হইলেও ইহার নামে একটি সরকারও গঠিত হইয়াছিল। সপ্তগ্রামের ধ্বংসের পর হুগলী প্রধান বন্দর হইয় উঠে। . (9) ছোলেমান গররানি ঃ—মুলেমান কিরাণী বা কররাণী ৯৭২ হিজরী বা ১৫৬৪ খৃঃ অব্দে বাঙ্গালা অধিকার করিয়া টাড়ায় রাজধানী স্থাপন করেন। কিরানী বংশ সের সাহ ও র্তাহার পুত্র সেলিম সাহ কর্তৃক অনেক জায়গীরাদি প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। সুলেমানের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা তাজ খাঁ সেলিম সাহের সময় সম্বলের শাসনকর্তা নিযুক্ত হন। কিন্তু মহম্মদ আদলির