পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যের চরিত্র.pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রতাপাদিত}চরিত্র। ^ 3 মান গররাণী নামক এক জন পাঠান ছিলেন । তিনি প্রথম অবস্থায় ভাদৃশু ধনাঢ্য ছিলেন না, হুমায়ূন বাদশাহের হিন্দুস্থান শাসন কালে তিনি ঐ কৰ্ম্মে নিযুক্ত হয়েন । রামচন্দ্রের তথায় গমনের কএক বৎসর পূৰ্ব্বে: তিনি ভাগ্যবশতঃ বাঙ্গল বেহার ও উড়িষ্যা এই তিন প্রদেশের সুবাদার হইয়া অসীম ধন উপাৰ্জ্জন করত সৰ্ব্বত্র সম্ভ্রান্ত হইয়াছিলেন। হুমায়ুনের লোকান্তর প্রাপ্তি হইলে পর উাহার পূত্রের রাজ্যের লোভ সম্বরণ করিতে না পারিয়া দিল্লীর সিংহাসন আরোহণ উপলক্ষে পরস্পর ঘোরতর সমরে প্রৱৰ্ত্ত হইয়াছিলেন, সুভরাং সিংহাসন কিয়ৎকাল শূন্য থাকে কাহারও ঈদৃশ সামর্থ্য ছিল না ষে স্বয়ং ংহাসনে আরোহণ করিয়া রাজনীতির অনুসারে দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন ও প্রজাগণের হিভাহিত চিন্ত৷ এবং দেশদেশান্তর হইতে রাজস্ব আদায়ের তত্ত্বাবধারণ করেন ; সুতরাং তৎকালে বিদেশীয় প্রধানহ কৰ্ম্মচারির। দিল্লীর প্রতি হতাদর হইয়। স্বেচ্ছাচারী হইতে লাগিল । শোলেমান সেই সময়ে কতিপয় সৈন্যদল সংগ্ৰহ করিয়া স্বয়ং সেনাপতি হইয়া উড়িষ্য জয় করেন । দিল্লীতে কিছু মাত্র কর প্রেরণ করেন নাই, তিন দেশ হস্তগত করিয়া রাজস্ব আদায় পুৰ্ব্বক কেবল স্বীয় কোষ পরিপুর্ণ করিতে লাগিলেন । কএক বৎসর বিবাদের পর হুমায়ুনের জ্যেষ্ঠ পুত্ৰ আকবর ভ্রাতাদিগের অভিমতিতে দিল্লীর সিংহাসনে অভিষিক্ত হইয়। বাদশাহ হইলেন । শোলেমান তৎশ্রবণে অনুপম উপটৌকন লইয়া ভঁাহার সহিত সাক্ষাৎ