পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যের চরিত্র.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১০ । প্রতাপাদিত্য চরিত্র। মহিষ, বরাহ প্রভূতি নানা হিংস্র জন্তু আছে এবং নদী সকল ব্রহৎকায় কুম্ভীরপুর্ণ, ঐ ভয়ঙ্কর বনের নাম বাদাবন, তাহার দক্ষিণাংশ অদ্যাবধি সুন্দরবন নামে প্রসিদ্ধ আছে । ঐ স্থানের সকল বৃত্তান্ত অরগত হইয়া সকলের জাহাই মনোনীত হইল । বিক্রমাদিত্যের পিতা তৎপর হইয়। তথ}য় পুরী নিৰ্ম্মাণের নিমিত্ত এক জন বিশ্বস্ত লোক প্রেরণ করিলেন । সে যাইয়া নগরের উপযুক্ত স্থান স্থির করিয়া তথাকার বন কাটাইল, এবং নদীতে সেতু বন্ধ করত প্রথমে এক প্রশস্ত পথ প্রস্তুত করিল । পরে দীর্ঘ প্রস্থে ছয় ক্রোশ স্থানের চারি দিকে গড় কাটাইয়া মধ্যস্থানে অপুৰ্ব্ব সাত মহল বাট নিৰ্ম্মাণ করিল এবং তাহার চতুষ্পার্শ্বে হাট বাজার বসাইয়। ঐ স্থান অতি সুশোভিত করিল, ভবানন্দ স্বয়ং মন্ত্রিগণ সহিত যাইয়! দেখিলেন রম্য স্থান হইয়াছে তথায় বাস করিতে সকলেরই মনন হইল । ভবানন্দ সেই স্থানে থাকিয়া গৌড় হইতে সমুদায় দ্রব্য সামগ্রী নৌকাযোগে ঐ মুতন বাষ্ঠীতে আনাইলেন এবং শুভক্ষণে পরিজনগণের সহিত গৃহ প্রবেশ করিয়া মনের সুখে বাস করিতে লাগিলেন, কোন উপদ্রবের ভাবনা রহিল না । শ্ৰীহরি জানকীবল্লভ ও শিবানন্দ-কাননগে। এই তিন জন গৌড় রাজধানীতে বাস করিয়া রহিলেন, আর সকলে ঐ মুস্তন বাটতে যাইয়া রহিলেন । এই প্রকারে ছয় সাত বৎসর অতীত হয় । পরে দিল্লীশ্বরের কর্ণগোচর হইল ষে গৌড়ের সুৰাদার দায়ুদ