পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যের চরিত্র.pdf/৪১

No 8 প্রতাপাদিত্য চরিত্র । কারণ আসিবামাত্র এতাদৃশ কুব্যবহার করিলে ? আমরা তোমাকে বিদেশে পাঠাইয়। চাতকের মেঘ দর্শনের ন্যায় তোমার পথ নিরীক্ষণ করিয়া রহিয়াছি, ভোমার আগমন বাৰ্ত্ত। শ্রবণমাত্রেই হর্ষে শরীর পুলকিভ হইয়াছিল, পরে অসদ্ব্যবহারে এমত ক্ষুব্ধ ছিলাম যে ভtহ। কহিতে অক্ষম, এক্ষণে তোমার মুখ সন্দর্শনে সাতিশয় সস্তুষ্ট হইলাম। ভোমার বিদেশ গমনাবধি বসন্তরায়ের দুঃখের পরিসীমা নাই, ইনি সৰ্ব্বদাই নিরানন্দ থাকেন, কোন কার্য্যে অামোদ করেন না, আর ইহার পুৰ্ব্বমত আহার নিদ্রা নাই, তোমার বিরহে ইনি নিতান্ত খিদ্যমান ছিলেন । আমি তোমাকে যত্বপূৰ্ব্বক প্রাঠাইয়াছিলাম এজন্য অদ্যাপি ইনি আমার সহিত উত্তমরূপ আলাপ করেন না । বৎস এক্ষণে তোমার সবিশেষ বিবরণ অামাদিগকে অবগত করাহ, তবে সুস্থির হই । রাজা প্রতাপাদিত্য পুৰ্ব্বে রাগান্ধ হইয়। ঐ রূপ ব্যবহার করিয়াছিলেন, এক্ষণে পিতা পিতৃব্যের মুখ দর্শনে রাগের বিচ্ছেদ হইয়া প্রেমের উদয় হইল । তাহাতে ভিনি অতি কুষ্ঠিত হইয়া কিছু প্রতুrভর না করিয়াই ক্ৰন্দন করিত্তে লাগিলেন, এবং পিত্তা ও পিতৃব্যের চরণে পতিত হইয়া কহিতে লাগিলেন পিতঃ আমি অভিকুকৰ্ম্ম করিয়াছি, এক্ষণে ভাহা কি প্রকারে নিবেদন করি । * রাজা বিক্রমাদিত্য ও রাজা বসন্তুরায় প্রভাপাদিত্যকে ক্রোড়ে করিয়া অঙ্গে হস্তস্পর্শ করিতে ২ কহিলেন বৎস তোমার লজ্জা বা ভয় কি, যাহা তুমি করিয়াছ