পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যের চরিত্র.pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রতাপাদিত্য চরিত্র। * : রাজা প্রতাপাদিত্য আপনার আসন্ন কাল জানিয়া সমরে নিরুৎসুক হওত স্বয়ং যাইয়৷ উজারের সহিত সাক্ষাৎ করিলেন । উজীর তাহাকে সম্মানপুৰ্ব্বক জিজ্ঞাস করিলেন তোমার এক্ষণে কি কর্তব্য, যুদ্ধ করিবে কি বাদসাহের আজ্ঞার বশীভূত হইবে? রাজ। উত্তর করিলেন আমি আর যুদ্ধ করিব না, আপনি দিল্লীশ্বরের আজ্ঞানুসারে আমাপ্রভি যাহ। . করিতে “হয় করুন। উজীর ভঁাহাকে পিঞ্জরে রুদ্ধ কfরয়। পুরী লুঠ করিলেন । * * উজীর ঐ লুণ্ঠনে এক শত কোটি নগদ টাকা, আর মণিমুক্ত। প্রবালাদি বিবিধ বহুমূল্য রত্ব পাইলেন । তিনি আর২ স্ত্রীলোকদিগকে পিঞ্জরে বদ্ধ করিয়াছিলেন । কিন্তু রাজা প্রভাপাদিত্যের স্ত্রী নাগজীর পুরীমধ্যে, কেহ প্রবেশ করিতে পারে নাই এবং ভিনি বদ্ধও হয়েন নাই; লুঠের পুৰ্ব্বে স্নাঘবরায় যাইয়। ঐ পুরীর দ্বারে দাড়াইয় রহিয়াছিলেন, এ কারণ তথায় কেহ যায় নাই । উজীর সকলকে লইয়া দিল্লী গমন করেন, পfিমধ্যে বারাণসীতে রাজা প্রভাপীদিত্যের লোকান্তর প্রাপ্তি হয় । আর২ সকলকে লইয়া দিল্লীশ্বর আকবর বাদ সাহের সমীপে উপস্থিত করেন । বাদমাহ উ জীরের অনুরোধে রাঘবরায়কে যশেহরজিৎ উপাধি দিয়া রাজ প্রতাপাদিত্যের রাজ্য পদমর্পণ করিলেন । রাঘবরায় দিল্লীশ্বরের নিকট হইতে বিদায় হইয়া প্রথমে ইচ্ছার্থী মছন্দরীর বাটীতে উপস্থিত হইলেন । তথা হইভে সকল ভ্রাত্তাদিগকে সমভিব্যাহারে লইয়া মহা সমারোহে যশোহরে আসিয়৷