পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSS রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলী । গ্ৰাহ হয়, তুল্য প্রমাণ না হইলে এ সূত্রের বিষয় হয় না ; যেমন এক শ্রুতির একশত স্মৃতির সহিত বিরোধ হইলে অগ্ৰাহৃত হয়। এমত নহে ; সেই রূপ সাক্ষাৎ বেদার্থ যে মনুস্মৃতি তাহার অগ্ৰাহত এক স্মৃতি কিম্বা অনেক স্মৃতির বিরোধ দ্বারা হইতে পারে না, অধিকন্তু আঙ্গির হারৗত বিষ্ণু ব্যাস ইহঁরা যেমন সহমরণ ও ব্রহ্মচৰ্য্য। এ দুয়ের অনুমতি বিধবার প্রতি করিয়াছেন, সেই রূপে মনু, যাজ্ঞবল্ক্য, বশিষ্ঠ, শাতাতপ, প্রভৃতি ইহঁরা কেবল ব্ৰহ্মচর্য্যের বিধি দিয়াছেন, অতএব মন্বাদি বাক্যকে তুচ্ছ করিয়া স্বৰ্গ প্ৰলোভ দেখাইয়া কেন অবলা স্ত্রীর প্রাণ বধ কবেন ? ইতি দ্বিতীয় প্ৰকারণং । প্লবাহোতে ইত্যাদি শ্রুতি সকল, এবং যামিমাং পুষ্পিতাং বাচমিত্যাদি ভগবদগীতা শ্লোক, যাহা আমরা সৰ্গাদি কামনা করা অতি বিরুদ্ধ ইহার প্রমাণের নিমিত্তে লিখিয়াছিলাম, তাহ! সকলকে আপনি প্রথমত লিখিয়া পরে ৷ স্বৰ্গীকামোেহশ্বমেপে ন যজেত। অর্থাৎ স্বৰ্গ কামনা বিশিষ্ট ব্যক্তি অশ্বমেধ যাগ কৰি ’বেক, ইত্যাদি কাম্য কৰ্ম্মের বিধায়ক শ্রুতি লিখিয়া বিচার পূর্বক ১৭ পৃষ্ঠায় সিদ্ধান্ত করিয়াছেন, যে ইহার তাৎপৰ্য্য এই হইল, যে কাম্য কৰ্ম্ম নিষিদ্ধ নহে, কিন্তু কাম্য কৰ্ম্ম অপেক্ষা নিষ্কাম কৰ্ম্ম শ্ৰেষ্ঠ, এবং সকাম অধিকারী অপেক্ষা নিষ্কাম অধিকারী শ্ৰেষ্ঠ ৷ উত্তর - যদি সকাম অধিকারী হইতে নিষ্কাম অধিকারীকে শ্রেষ্ঠ কহিলেন, তবে বিধবাকে স্বৰ্গ কামনাতে প্ৰলোভ কেন দেখান ? মুক্তি সাধন নিষ্কাম কৰ্ম্মে কেন প্ৰবৰ্ত্ত না করান ? আর যে ইতিমধ্যে লিখিয়াছেন, যে কাম্য কৰ্ম্মের নিষেধ কোথাও নাই, এ অশাস্ত্ৰ, যেহেতু কাম্য কৰ্ম্মের নিষেধক শ্রুতি ও স্মৃতি লিখিলে স্বতন্ত্র বৃহৎ এক গ্ৰন্থ হয়, কিঞ্চিৎ পূর্বে ১৮৬ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছি, তবে কাম্য কৰ্ম্মের বিধায়ক শাস্ত্ৰও আছে, কিন্তু সে নিষ্কাম কৰ্ম্ম বিধায়ক শাস্ত্রের অপেক্ষা সৰ্ব্বথা দুর্বল এবং বাধিত হয় ; মুণ্ডক শ্রুতি ॥