পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/২১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RdV রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলী । স্ত্রীলোকের আত্মহত্যাতে প্ৰবৃত্তি কদাপি হইতে পারে না, সুতরাং প্ৰবৃত্তির অভাবে শরীর দাহ ক্রিয়ার সম্ভাবনা নাই। দ্বিতীয়ত নিত্য ও নৈমিত্তিক কৰ্ম্ম ব্যতিরেকে আত্মার পীড়া দ্বারা অথবা অন্যের নাশের নিমিত্ত যে তপস্যা তাহাকে তামস করিয়া গীতাতে লেখেন, এবং ঐ তামস কৰ্ম্ম কর্তা অধোগতি প্ৰাপ্ত হয় ইহাও ঐ ভগবদগীতাতেই লেখেন। "মূঢ়গ্ৰাহেণাত্মনোযৎ পীড়য়া ক্রিয়তে তপঃ । পারস্তোৎসান্দনাৰ্থং বা তত্তামসমুদাহৃতং” ৷ “জঘন্যগুণবৃত্তস্থা অধোগচ্ছন্তি তামসাঃ” ৷ অতএব বিপ্ৰনাম যদি বিশেষ মনোযোগ করিয়া গীতা দেখিতেন। তবে এ প্রশ্নও করিতেন না । মিতাক্ষরাতে কাম্য কৰ্ম্মের দ্বারা জীবন নাশের নিষেধ শ্রুতিও বুঝি বিশেষ রূপে দেখেন নাই। “তস্মাদু হ ন পুরায়ুৰ্যঃ স্বঃকামী প্ৰেয়াৎ”। অতএব স্বৰ্গ কামনা করিয়া পরমায়ুঃ সত্ত্বে আয়ুৰ্বাস: কবিবেক না। অর্থাৎ মরিবেক না। এবং সহমরণাদি কাম্য কৰ্ম্ম সকল কামনা পরিত্যাগ পূর্বক করিলে চিত্ত শুদ্ধি হয়। এরূপ ব্যবস্থা যদি বিপ্ৰনাম স্থির করিয়া থাকেন তবে বিপ্রনামা ইতঃপর ইহ; ও প্ৰবৃত্তি দিতে সমর্থ হইবেন, যে স্মাৰ্ত্তধৃত নরসিংহ পুরাণের বচন আছে যে, “জলপ্ৰবেশী চান্দনং প্রমোদং বহিসাহসী । ভৃগুপ্ৰপাতী সৌখ্যস্ত রণে চৈবান্তিনিৰ্ম্মলং৷ অনশন মৃতো য: স্যাৎ সগচ্ছেত্ত ত্ৰিপিষ্টপং” ৷ যে ব্যক্তি জলে প্ৰবেশ করিয়া মরে সে আনন্দনাম স্বৰ্গ প্রাপ্ত হয়, সাহস পূর্বক অগ্নিতে প্রবেশ করিয়া যে মরে সে প্রমোদ নাম স্বৰ্গ প্ৰাপ্ত হয়, পৰ্ব্বতাদি উচ্চাদেশ হইতে পতন পূর্বক যে মরে সে সৌখ্য নামক স্বৰ্গকে পায়, যুদ্ধ পূর্বক যে মরে তাহার অতি নিৰ্ম্মল নাম স্বৰ্গ প্ৰাপ্তি হয়, আহার ত্যাগ পূর্বক যে মরে সে ত্রিপিষ্টপ নাম স্বৰ্গ প্রাপ্ত হয়। অতএব ইহাতে নির্ভর করিয়া বিপ্ৰনাম কহিবেন যে, সঙ্কল্প ত্যাগ পূর্বক এ সকল প্রকারে শরীর ত্যাগ করিলে নিষ্কাম কৰ্ম্মের ন্যায় এই নানাবিধ আত্ম হত্যাও চিত্ত শুদ্ধির প্রতি কারণ হয়। এবং স্মাৰ্ত্তধৃত