পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/২৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

어 27F | S@ ዓ পতিত হওন তাৎপৰ্য্য নহে। কিন্তু ঐ ঐ ক্রিয়াতে কিঞ্চিৎ দোষ কথন শাস্ত্রের তাৎপৰ্য্য হয়। আর জ্ঞাননিষ্ঠদের প্রতি কোনো অবিহিত কৰ্ম্ম করিলে যে দোষ শ্রবণ আছে সে সকল বাক্যের স্পষ্টাৰ্থই গ্ৰহণ কবেন। কিন্তু তাহারও তাৎপৰ্য্য কিঞ্চিৎ দোষ কথন হয়। ইহা কদাপি স্বীকার করেন না। এরূপ পক্ষপাতাধীন ব্যবস্থা পণ্ডিতের আদরণীয়া হয় কি না তাহারাই বিবেচনা করিবেন ৷ ১২ পৃষ্ঠের শেষে ধৰ্ম্ম সংস্থারকের শূদ্র সম্পৰ্ক নাই লিখিয়াছেন। অতএব র্তাহার শূদ্র সম্পৰ্ক প্রমাণ করা উদ্বেগ জনক সত্য বাক্য ব্যতিরেকে হইতে পারে না সে আমাদের নিয়মের বহির্ভূত হয় যে শাস্ত্রীয় বিচারে কটক্তি না হইতে পারে তবে অন্য কেহ তাহ প্রমাণ করে আমাদের হানি লাভ নাই। আর শূদ্রাসনে উপবেশনের বিষয়ে ১৩ পৃষ্ঠে লিখেন “যে বিশিষ্ট শূদ্রের আপনিই পৃথক আসনে উপবিষ্ট হয়েন” তাহার উত্তর এই যে যাহারা ধৰ্ম্ম সংহারককে সৰ্ব্বদা দেখিতেছেন তাহারাই ইহার মীমাংসা করিবেন যে ধৰ্ম্ম সংহারিক সৎ শূদ্ৰ হইতে পৃথগাসনে বইসেন। কি সৎ শূদ্র ও অসৎ শূদ্র বরঞ্চ যবনাদির সহিত একাসনে বসিয়া থাকেন, এ বিষয়ে আমাদের বাক কলহ নিরর্থক। অধিকন্তু ১৩ পৃষ্ঠে লিখেন যে “শূদ্র যাজনাদি কারণে যে সকল দোষ শ্রুতি আছে সে তাবৎ অসৎ শূদ্র অন্ত্যজাদি পর, যেহেতু চারি বর্ণ চারি যুগেই প্ৰসিদ্ধ আছেন। তঁহাদের ক্রিয়া কৰ্ম্ম ষট কৰ্ম্মশালি ব্ৰাহ্মণ সকল চিরকাল করিয়া আসিতেছেন এবং অদ্যাবধি সৎ শূদ্র যাজী ও অশূদ্র যাজী বিপ্রদিগের পরস্পর তুল্য রূপ মান্য মানকতা কুটম্বতা ও আহার ব্যবহার সর্ব দেশেই হইতেছে”৷ উত্তর। - এ নবীন ধৰ্ম্ম সংস্থাপন করিতে প্ৰবৃত্ত হইয়াছেন যে ব্ৰাহ্মণের শূদ্র যাজনে দোষ নাই। ইহাতে দুই প্ৰমাণ দিয়াছেন প্ৰথম এই যে “চারি বর্ণ চারি যুগেই প্ৰসিদ্ধ আছেন” কিন্তু এস্থলে ধৰ্ম্ম সংহারককে S.