পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/২৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলী । সুচক হয় । বস্তুত শাস্ত্রের অপলাপ করিবার দোষ ধৰ্ম্ম সংহারকের প্রতি দেওয়া বৃথা কিন্তু এই মাত্র তাঁহাকে কহিতে যুক্ত হয় যে মহাশয় দ্বেষ ও পৈশুন্য প্ৰযুক্ত দুৰ্ব্বাক্য কহাইবার জন্যে বেতন দিতে কদাপি কাতর নহেন ইহা প্ৰত্যক্ষ দেখিতেছি। তবে কোনো বিজ্ঞ ব্যক্তির দ্বারা প্ৰত্যুত্তর কেন না লেখাইলেন, তাহা হইলে এরূপ শাস্ত্ৰ বিরুদ্ধ ও সর্ব লোক গৰ্হিত দুৰ্ব্বাক্য সকলে গ্ৰন্থ পরিপূর্ণ হইত না কিন্তু বিশেষ বিবেচনা করিলে এ দোষও দেওয়া তাহার প্রতি উচিত হয় না যেহেতু এরূপ অশাস্ত্র ও দুৰ্ব্বাক্য কহিতে বেতন পাইলেও পণ্ডিত লোক কেন প্ৰবৃত্ত হইবেন । ৪৯। পুষ্ঠে ৪ পংক্তিতে লিখেন যে “লোক-সুখে সতত অত্যন্ত অনুরক্ত চিত্ত নিমিত্ত সৰ্ব্বদাই ব্ৰহ্মজ্ঞানের অনুষ্ঠানে অসক্ত ও বিরক্ত হয় — এতাদৃশ পাপিষ্ঠ নরাধমের কৰ্ম্ম ও ব্ৰহ্ম হইতে ভ্ৰষ্ট ও অন্ত্যজের ন্যায় ত্যাজ্য হয়” ৷ উত্তর । — যে ব্যক্তি সুখাসক্ত হইয়া সর্বদাই এহ্মজ্ঞানের অনুষ্ঠানে অসক্ত ও বিরক্ত হয়। সে পাপিষ্ঠ নরাধ, হইতে ও অধম বরঞ্চ ভাক্ত কম্মির তুল্য হয়। অতএব ধৰ্ম্ম সংহাৰ ‘কই বিবেচনা করুণ যে ব্যক্তি সুখাসক্ত হইয়া জ্ঞানানুষ্ঠানে বিরক্ত হয়। ইহার উদাহরণ স্থল তিনি হয়েন কি না । পুনরায় ঐ পৃষ্ঠে লিখেন যে “ব্ৰহ্মজ্ঞানের প্রতি মৌখিক প্রতি মাত্র এবং কৰ্ম্ম কাণ্ডের অকরুণার্থ আমি ব্ৰহ্মজ্ঞানী আমার কৰ্ম্ম কাণ্ডে প্রয়োজন কি ইহা কহিয়া লোক সকলকে প্রতারণা করেন” ৷ ইহার উত্তরে আমরা এই কহিব যে যে কোনো ব্যক্তি কেবল মৌখিক জ্ঞানানুষ্ঠান জানায় অথচ এই অভিমান করে যে আমি ব্ৰহ্মজ্ঞানী হই এবং এই ছলে কৰ্ম্ম ত্যাগ করিয়া লোককে প্রতারণা করে সে ব্যক্তি ভাক্তজ্ঞানী বরঞ্চ ভাক্ত কর্মি হইতেও নিরাধম হয়, সেই রূপ যে কোনো ব্যক্তি জ্ঞানানুষ্ঠানে অসক্ত ও বিরক্ত হয়। আর লোককে প্রতারণার্থ কহে যে আমি সৎকর্মী আমার জ্ঞান সাধনে কি প্রয়োজন, কৰ্ম্ম দ্বারাই কৃতাৰ্থ হইব সেও ভাক্ত