পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/২৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথ্য প্ৰদান । ՀԳ 9 কৰ্ম্মির মধ্যে অবশ্য গণিত হইবেক । বস্তুত যে কোনো কারণে হউক জ্ঞানানুষ্ঠানে যাহার বৈরক্ত্য হয় তাহার পর ভাগ্যহীন অন্য কে আছে। কেনশ্রুতিঃ ( ইহ চেদবেদীদথ সত্যমস্তি নচেদিহাবেদীন্মহতী বিনষ্টিঃ।) ইহ জন্মে মনুষ্য যদি পূৰ্ব্বোক্ত প্রকারে অতীন্দ্ৰিয় রূপে আত্মাকে জানেন তবে তাহার পুরুষাৰ্থ সিদ্ধ হয়। আর যদি মনুষ্য ইহ জন্মে আত্মাকে না। জানেন তবে তাঙ্গার মহান বিনাশ হয়। কুলার্ণবে ( সুকৃতৈমানবোস্তৃত্বা জ্ঞানী চেন্মেক্ষমাপ্নযাৎ । ) তথা, ( শোপানিভূতং মোক্ষস্ত মানুষ্যং প্রাপ্য দুলভিং । যস্তারন্যাতি নাত্মানং তস্মাৎ পাপতিরোত্ৰ কঃ ) অর্থাৎ বহু জন্মের পুণ্য সঞ্চয় দ্বারা মনুষ্য হইয়া যদি জ্ঞানী হয় তবে তাহার মুক্তি হইবেক । মোক্ষের শোপান অর্থাৎ শিড়ি যে মনুষ্য জন্ম তাহ পাইয়া যে আপনার ত্ৰাণ জ্ঞান দ্বারা না করিলেক তাহার পর পাপী আর কে আছে। ৫০ পৃষ্ঠে ৫ পংক্তিতে লিখেন যে” আপন অপূৰ্ব্ব ধৰ্ম্মসংহিতার ২২৬পৃষ্ঠে ১ পংক্তিতে যোগবশিষ্ঠ বচনের তাৎপৰ্য্যাৰ্থ লিখিয়াছেন যে ব্যক্তি সংসার সুখে আসক্ত হইয়া ইত্যাদি অতএব পূর্ব লিখনের বিস্মরণে যোগবশিষ্ঠ বচনের পুনর্বার স্বমত রক্ষণার্থ অন্যাৰ্থ কল্পনা করিয়া যোগবশিষ্ঠের বচনান্তর কথনেও নিরর্থ নানা বাক্যোচ্চারণে উন্মত্ত প্ৰলাপ, ইত্যাদি ৷” উত্তর —আমাদের প্রথম উত্তরের দ্বিতীয় পৃষ্ঠে যাহা লিখিয়াছিলাম তাহা সমুদায় প্রথমত লিখিতেছি। অর্থাৎ “যে ব্যক্তি সংসার সুখে আসক্ত হইয়া আমি ব্ৰহ্মজ্ঞানী এমত কহে সে কৰ্ম্ম ব্ৰহ্ম উভয় ভ্ৰষ্ট ত্যাজ্য হয়” আর ঐ যোগবশিষ্ঠ বচনান্তরের অর্থ যাহা প্ৰথম উত্তরের ২২৯ পৃষ্ঠে লিখিয়াছিলাম তাহাকেও পুনরুক্তি করিতেছি “বহির্ব্যাপারসংবস্তে হৃদি সঙ্কল্পবৰ্জিতঃ । কৰ্ত্ত বহিরাকৰ্ত্তান্তরে।বং বিহর রাঘব ।” অর্থাৎ বাহোতে ব্যাপার বিশিষ্ট মনেতে সঙ্কল্প ত্যাগ আর বাহিরেতে আপনাকে কৰ্ত্তা দেখাইয়া ও মনেতে অকৰ্ত্তা জানিয়া হে রামচন্দ্ৰ লোক যাত্ৰা নির্বাহ কর অতএব জ্ঞানাবলম্বী እኳፖ ̈