পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/২৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rbr8 রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলী । ব্যক্তিরা আমাকে ভজন করেন প্ৰথম আৰ্ত্ত, দ্বিতীয় জিজ্ঞাসু, তৃতীয় অর্থার্থী, চতুর্থ জ্ঞানী ৷ যেমন ব্ৰহ্ম জিজ্ঞাসার অধিকারের কারণ সাধন চতুষ্টয় লিখিয়াছেন সেই রূপ শাক্ত শৈব বৈষ্ণব সৌর গাণপত্য ইত্যাদি তাবৎ উপাসনাতেই অধিকারের কারণ ব্যাহুল্য রূপে লিখেন, তন্ত্রসার ধৃতবচন (শান্তোবিনীতঃ শুদ্ধাত্মা শ্রদ্ধাবান ধারণক্ষমঃ । সমর্থশ্চ কুলীনশ্চ প্রাজ্ঞঃ সচ্চরিতোয়তিঃ । এবমাদিগুণৈযুক্তঃ শিষ্যোভবতি নান্যথা ) শমগুণ বিশিষ্ট অর্থাৎ অন্তরিান্দ্ৰিয়ের নিগ্ৰহ বিশিষ্ট ও বিনয়যুক্ত, চিত্ত শুদ্ধি বিশিষ্ট, শাস্ত্ৰে দৃঢ়বিশ্বাসী ও মেধাবী, বিহিত কৰ্ম্মানুষ্ঠান ক্ষম, আচারাদি গুণযুক্ত, বিশেষদশী, সচ্চরিত্র, যত্নশীল ইত্যাদি গুণবিশিষ্ট হইলে শিস্য হয়। অন্যথা শিষ্য হইতে পারে না ৷ এ বচনে “শিষ্যোভবতি নান্যথা৷” এই বাক্যের দ্বারা এ সকল বিশেষণকে সাকার উপাসনা বিষয়ে দৃঢ়তর রূপে কহিয়াছেন । যদি ধৰ্ম্মসংক্রাবক কহেন যে “এ সকল বিশেষণ উত্তমাধিকারি শিষ্যের প্রতি হয়। কিন্তু মধ্যম ও কনিষ্ঠাধিকারে এ সমুদায়ের নিয়ম নাই যেহেতু এরূপ সঙ্কোচ না করিলে সাকার উপাসনাতে অধিকারী প্ৰায় পাওয়া লাইবেক না এবং জ্ঞান সাধন বিষয়ে সাধন চতুষ্টয়ের সম্পূর্ণরূপে ইহ জন্মেই হওয়া আবশ্যক, এমত না কহিলে ব্রহ্মোপাসনার প্রবৃত্তিতে বাধা জন্মান যায় না ইহার উত্তর এই যে এরূপ কথন ধৰ্ম্ম সংহারকের আশ্চৰ্য্য নহে, কিন্তু পূৰ্ব্ব লিখিত বেদান্ত সূত্র ও ভগবদগীতায় প্রাপ্ত স্পষ্টার্থকে যাহারা অমান্য করেন। তঁহাদের সহিত আমাদের শাস্ত্রীয় বিচার নাই । ৬৪ পত্রে ২ পংক্তি অবধি লিখেন যে তত্ত্বজ্ঞানীর লক্ষণ ভগবদগীতাতে কহিয়াছেন (দুঃখেঘনুদ্বিগ্নমনাঃ সুখেষু বিগতস্পৃহঃ । বীতরাগভয়ক্ৰোধঃ স্থিতধীমুনিরুচ্যতে) দুঃখেতে অনুদ্বিগ্নচিত্ত ও সুখেতে নিম্পূহ ও বিষয়ানুরাগ শূন্য, ভয় ক্ৰোধ রহিত এবং মুনি অর্থাৎ মৌন শীল যে মনুষ্য তাহার নাম স্থিতধী অর্থাৎ তত্ত্বজ্ঞানী হয় ৷ উত্তর -এ সকল স্বাভাবিক লক্ষণ