পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৩৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(O8 o রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলী । অঙ্গুলির দ্বারা ভোজনের উপযুক্ততানুপযুক্তত্ব পরীক্ষণ করিয়া যখন বিলক্ষণ হৃষ্ট পুষ্টাঙ্গ দর্শন করেন তৎকালে পরম হর্ষে বন্ধু বান্ধবের সহিত স্বহস্তে বহু প্রচারে ছেদনানন্তর স্বোদর পূরণ করিয়া থাকেন” উত্তর।—এরূপ অলীক কথন যাহার স্বাভাবিক চিত্ত তাহা হইতে কদাপি হয় না, যদ্যপি এ অমূলক মিথ্যার সমুচিত উত্তর এই ছিল যে হিন্দুৱ সৰ্ব্বথা অভক্ষ্য যে পশু তাহার বৎসের ঐ রূপ পালন ও পরে হিংসন ধৰ্ম্মসংহারিক স্বয়ং করিয়া থাকেন। কিন্তু অদ্যাবধি কে কোথায় অলীক বক্তা ব্যলীকের সহিত রাগান্ধ হইয়া অলীক কথন করিয়াছেন। ১৪৬ ও ১৪৭ পৃষ্ঠে যাহা লিখেন তাহার তাৎপৰ্য্য এই যে এক ব্যক্তি পণ্ডিত সভাতে আপনাকে বৈদিক, স্মাৰ্ত্ত, তান্ত্রিক রূপে প্ৰকাশ করাতে তাহদের বিচার দ্বারা আপনাকে পশ্চাৎ কৃষি কৰ্ম্মকারী স্বীকার করিলেন । উত্তর -পণ্ডিত সভাতে এরূপ অপণ্ডিতের পাণ্ডিত্য প্ৰকাশে তাহার কেবল লজ্জাকর হয়, সেই-- রূপও অপণ্ডিতমণ্ডলীতে যথার্থ কথনের দ্বারা পণ্ডিতও অপমানিত হইয়াছেন। ইহাও শ্রত আছে মেন মূর্খদের সভাতে কোনো এক পণ্ডিত শাক, শাল্মলি, বক, ইহা কহিয়া তিরস্কৃত হইয়াছিলেন যেহেতু তাহারা শাগ শিমুল বগ ইহাকেই শুদ্ধ জ্ঞান করিত। আমরা প্ৰথম উত্তরের ২৩৯ পৃষ্ঠে লিখি যে “পরমেশ্বরের জন্ম মরণ চৌৰ্য্য পারদাৰ্য্য ইত্যাদি দোষকে যথার্থ জানিয়া অপবাদ দিতে পারেন।” তাহার উত্তরে প্রথমত ১৪১ পুষ্ঠে ৭ পংক্তিতে লিখেন যে “শ্ৰীভগবানের জন্ম ও মরণ কি প্রকারে অযথার্থ কহ যায়” এবং জনন মরণের প্রমাণের উদ্দেশে গীতা, বিষ্ণুপুরাণ, অগস্তসংহিতাদির বচন লিখিয়াছেন। পরে আপনি এই পুর্বোক্ত বাক্যের অন্যথা করিয়া সিদ্ধান্তে ১৪৩ পৃষ্ঠে ১৩ পংক্তিতে লিখেন “অতএব পরমেশ্বরের জন্ম মৃত্যু শব্দ প্রয়োগ লোকের ব্যবহারিক মাত্র কিন্তু বাস্তব নহে” অধিকন্তু ১৪.৫ পৃষ্ঠের ১ পংক্তিতে লিখেন যে “পরমার্থ বিবেচনায় মনুষ্যেরও