পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৩৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলী । و 996 বিশেষের সংস্কৃত মদিরা পানে আবশ্যকতা রহিল। ১৮৪ পৃষ্ঠে শ্ৰীভাগবতের দুই বচন লিখিয়া পরে ১৮৫ পৃষ্ঠের ৬ পংক্তিতে অর্থ লিখেন যে ( সৌত্ৰিমণীযাগে সুরাপান অবিহিত, কিন্তু আঘাণ মাত্ৰ বিহিত ) ৷ উত্তর।-- ভাগবত শাস্ত্ৰ বৈষ্ণবাধিকারে হয়, তথাচ ভাগবতে ( শ্ৰীমদ্ভাগবতং পুরাণমমলং যদ্বৈষ্ণবানাং প্ৰিয়ং ) অতএব সৌত্ৰিমণী যাগে সুরার আভ্ৰাণ ভাগবতে যে কহিয়াছেন তাহা বৈষ্ণবাধিকারে কহিলেই সঙ্গত হয়, নতুবা অন্য শাম্বের সহিত বিরোধ জন্মে ঐ ভাগবতেই ক’হেন যে ( স্বে স্বেধিকারো যা নিষ্ঠ সগুণঃ পরিকীৰ্ত্তিত: ) স্বীয় স্বীয় অধিকারে মনুয্যের যে নিষ্ঠ তাহাকে গুণ কহি ৷ দ্বিতীয়ত, বচনান্তরের দ্বারা কলিকালে তন্ত্রোক্ত ংস্কারে সুরা সেবন ও তাহার গ্রহণের পরিমাণ প্ৰাপ্ত হইতেছে, ও শ্ৰীভাগবতে বৈদিকানুষ্ঠানে যজ্ঞীয় সুরােনা স্বাণ লইবার অনুমতি দেন, কিন্তু তান্ত্রিক অধিকালে এ অনুমতি নহে ; অতএব পরস্পর শাস্ত্রের এক বাক্যতা নিমিত্ত ভাগবতীয় বচনকে কেবল বৈদিক যজ্ঞ বিষয়ে কহিতে হইবেক । ১৮৬ পৃষ্ঠে ৩ পংক্তিতে ব্ৰহ্ম পুরাণীষ বচন লিখেন ( নিরাশ্বমেধেী মদ্যঞ্চ কলৌ বািৰ্লং দ্বিজাতিভিঃ) অর্থাৎ নরমেধ, অশ্বমেধ ও মদ্য, দ্বিজাতির কলিতে ত্যাগ করবেন। উত্তর -ইহাতে শ্রেীত অশ্বমেধাদি যাগ সাহচর্য্যে মন্দিরার নিষেধ কলিযুগে করিয়াছেন অর্থাৎ সত্য ত্রেতা দ্বাপরে যে বিধানে মদ্য পান করিতেন তাহ কলিতে অকৰ্ত্তব্য আর ঐ তিন যুগে বেদোক্ত বিধানে মদ্যাচরণ ছিল ইহা শাস্ত্ৰে দৃষ্ট হইতেছে, অতএব এবচন দ্বারা তন্ত্র শাস্ত্রোক্ত উপাসনা বিশেষে সংস্কৃত মন্দিরার নিষেধ নাই। সুতরাং আমাদের পূর্বোত্তরের সিদ্ধান্তের অন্তর্গত হইল। অধিকন্তু এনিষেধকে সামান্যত যদি কহ তথাপি যাহার সামান্যত নিষেধ থাকে। অথচ বিশেষ বিশেষ বিধিও তাহার দৃষ্ট হয়, তখন সেই বিশেষ বিশেষ স্থল ভিন্ন ঐ সামান্য নিষেধকে অঙ্গীকার করিতে হয়, যেমন পুত্ৰকে মন্ত্র দিবেন না। এই সামান্য