পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৩৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথ্য প্ৰদান । ©ዓዓ বেক” সৰ্ব্বথা অযোগ্য, বিশেষত ধৰ্ম্মসংহারকের লিখিত এ কুৰ্ম্ম পুরাণীয় বচন শিব শাস্ত্রের কোনমতে বাধক নহে যাহা আমরা এই দ্বিতীয় উত্তরে ৩৬৭ পৃষ্ঠের ১৭ পংক্তি অবধি ৩৭৫ পৃষ্ঠের ৭ পংক্তি পৰ্যন্ত বিবরণ পূর্বক লিখিয়াছি ; অধিকন্তু ভগবান বেদব্যাস কাশীখণ্ডে স্বয়ং সিদ্ধান্ত করিয়াছেন যে পরমারাধ্য মহেশ্বরের মাহন্ত্র্যের স্বল্পত দৰ্শাইয়া যদি কদাপি কোনো উক্তি স্বতঃ পর্যতঃ করিয়াছেন তাহাতে পরমারাধ্যের হেয়ত্ব সুচনা না হইয়া তাহারি হস্তস্তম্ভন ও কণ্ঠ রোধ ইত্যাদি বিড়ম্বনার কারণ হইয়াছিল, এই রূপ তন্ত্ররত্নাকরেও প্ৰাপ্ত হইতেছে তথাহি (হতাদর্পস্তদা ব্যাসোভৈরবেণ মহাত্মানা কম্পিতোরুশিরশ্ৰীেবস্ততঃ কাশ্যাবিনির্যযৌ।—তেনাহুত সুর নদী যমুনা চ সরস্বতী। গোদাবরী নৰ্ম্মদ চ কাবেরী বাহুদা তথা-দেবী দেবর্ষায়ঃ সিদ্ধাইচ্ছন্তোপি হিতং মুনেঃ । ভৈরবস্ত ভয়াদ্দেবি নজগাৰ্যাসসন্নিধৌ।। ভগ্নোদ্যমোনিরানন্দঃ শোকসংবিগ্নমানসঃ । কিং করোমি কিগচ্ছামি জল্পতি স্ম পুনঃ পুনঃ ৷ অৰ্থাৎ বেদব্যাস দ্বিতীয় কাশী নিৰ্ম্মাণে উদ্যত হইয়া কেবল ক্ষোভ প্ৰাপ্ত হইলেন। পুনরায় ২১১ পৃষ্ঠের প্রথম অবধি কুল ধৰ্ম্ম বিধায়ক তন্ত্রকে শ্রুতি বিরুদ্ধ অপবাদ দিয়া অগ্ৰাহ কহিয়াছেন ইহার উত্তর ৩৬৭ পৃষ্ঠ অবধি বিশেষরূপে লিখাগিয়াছে অতএব পুনরায় আমেডনে প্রয়োজনাভাব ৷ ভাগবতের, ব্ৰহ্মবৈবর্তের ও তন্ত্রের বচন লিখিয়া পরে ২১৬ পৃষ্ঠে ৮ পংক্তি অবধি লিখেন যে “মহানির্বাণাদি তন্ত্রের বচনে কেবল পুরাণাদি শাস্ত্রের নিন্দ বোধ হইতেছে যেহেতু সেই বচনে তৎপথ বিমুখ ব্যক্তি সকলের প্রতি পাষণ্ড ও ব্ৰহ্ম ঘাতক ইত্যাদি শব্দ প্রয়োগ এবং পুরাণাদি শাস্ত্ৰকে অর্কক্ষীর এবং ষড় দর্শনকে কুপ কহিতেছেন, উত্তমের রীতি এই যে পরের প্রশংসার দ্বারা আপনিও প্ৰশংসিত হয়েন অধমে তাহার বিপরীত।” উত্তর -প্ৰথমত সাদৃশ্য দ্বারা কোনো শাস্ত্রের প্রতি