পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8之 রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলী । কারণ জগতের হয়েন যেহেতু শ্রুতিতে কহিয়াছেন। অতএব এখানে যুক্তির অপেক্ষা নাই। আর যেহেতু বেদ কেবল ব্ৰহ্মের প্রমাণ হয়েন ৷৷ ২৭ ৷৷ আত্মনি চৈবং বিচিত্ৰাশ্চ হি ৷৷ ২৮ ৷ পরমাত্মাতে সৰ্ব্ব প্ৰকার বিচিত্ৰ শক্তি আছে এমত শ্বেতাশ্বতরাদি শ্রীকৃতিতে বর্ণন দেখিতেছি ৷ ২৮ ৷ স্বপক্ষেইদোষাচ্চ ৷৷ ২৯ ৷ নিরবয়ব যে প্ৰধান তাহার পরিণামের দ্বারা জগৎ হইয়াছে এমত কহিলে প্ৰধানের অভাব দোষ জন্মে। কিন্তু ব্ৰহ্ম পক্ষে এবিষয় হইতে পারে নাই যেহেতু ব্ৰহ্ম জগতের উপাদান এবং নিমিত্ত কারণ হয়েন ৷৷ ২৯ ৷ শরীর রহিত ব্ৰহ্ম কি রূপে সৰ্ব্ব শক্তি বিশিষ্ট হইতে পারেন। ইহার উত্তর এই । সর্বোপেতা চ দর্শণাৎ ৷৷ ৩০ ৷ ব্ৰহ্ম সৰ্ব্ব শক্তি যুক্ত হয়েন যেহেতু এমত বেদে দৃষ্ট হইতেছে ॥৩০ ৷ বিকরণত্বান্নেতি চেত্তদুক্তিং ৷৷ ৩১ ৷ ইন্দ্ৰিয় রহিত ব্ৰহ্মা জগতের কারণ না হয়েন এমত যদি কহ তাহার উত্তর পূর্বে দেয়া গিয়াছে অর্থাৎ দেবতা সকল লোকেতে বিনা সাধন যেমন ভোগ করেন। সেই রূপ ব্ৰহ্ম ইন্দ্ৰিয় বিনা জগতের কারণ হয়েন ; ৩১ ৷ প্ৰথম সুত্ৰে সন্দেহ করিয়া দ্বিতীয় সুত্ৰে সমাধান করিতেছেন। নাপ্রয়োজনবহ্বাৎ ৷৷ ৩২ ৷ ব্ৰহ্মা জগতের কারণ না হয়েন যেহেতু যে কৰ্ত্ত হয় সে বিনা প্রয়োজন কাৰ্য্য করে নাই ব্ৰহ্মের কোন প্রয়োজন জগতের সৃষ্টিতে নাই ॥৩২ ৷ লোকবত্ত, নীলাকৈবল্যং ৷৷ ৩৩ ৷৷ এখানে তু শব্দ সিদ্ধান্তাৰ্থ লোকেতে যেমন বালকের রাজাদি রূপ গ্ৰহণ করিয়া লীলা করে সেই রূপ জগৎ রূপে ব্ৰহ্মের আবির্ভাব হওয়া’ লীলা মাত্র হয় ৷৷ ৩৩ ৷ জগতে কেহ সুখী কেহ দুঃখী ইত্যাদি অনুভব হইতেছে অতএব ব্রহ্মের বিষম সৃষ্টি করা দোষ জন্মে। এমত যদি কহ তাহার উত্তর এই ৷ বৈষম্যনৈর্মূণ্যেন সাপেক্ষত্বাৎ তথাহি দৰ্শয়তি ৷৷ ৩৪ ৷৷ সুখী অপর দুঃখীর সৃষ্টিকৰ্ত্তা এবং সুখ আঁর দুখের দূর কর্তা যে পরমাত্মা তাঙ্গার বৈষম্য এবং নির্দয়ত্ব জীবের বিষয়ে নাই যেহেতু জীবের সংস্কার