পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৪২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুব্ৰহ্মণ্য শাস্ত্রীর সহিত বিচার । 8S ዓ ওঁতৎসৎ । যে ব্ৰাহ্মণের সাঙ্গ বেদাধ্যয়ন না করেন, তাহারা ব্রাত্য, অর্থাৎ অব্ৰাহ্মণ হয়েন, ইহা প্ৰতিপন্ন করিবার ইচ্ছা করিয়া ব্ৰাহ্মণধৰ্ম্ম তৎপর শ্ৰীযুক্ত সুব্রহ্মণ্য শাস্ত্রী যে পত্ৰ সাঙ্গ বেদ পাঠ হীন অনেক এতদেশীয় ব্ৰাহ্মণেরদের নিকটে পাঠাইয়াছেন, তাহাতে দেখিলাম, যে তেঁহ লিখিয়াছেন, “বেদাধ্যয়ন হীন ব্যক্তিরদের স্বৰ্গ এবং মোক্ষ হইতে পারে না, আর যে ব্যক্তি বেদাধ্যয়ন করিয়াছে, তাহারি কেবল ব্রহ্মবিদ্যাতে অধিকার, এবং ব্ৰহ্মজ্ঞান জন্মিবার পূর্ব বেদোক্ত এবং স্মৃত্যুক্ত কৰ্ম্ম অবশ্য কৰ্ত্তব্য হয়,” আর এ সকল বাক্য যাহা অব্রাহ্মণত্ব প্ৰতিপন্ন করিবাতে সম্পর্ক রাখে না, তাহার দ্বারা ইহা প্ৰতিপন্ন করিতে ইচ্ছা করিয়াছেন, যে ব্ৰহ্মযজ্ঞ দেবযজ্ঞ প্ৰভৃতি বৰ্ণাশ্ৰম কৰ্ম্মের অনুষ্ঠান ব্যতিরেকে ব্ৰহ্মজ্ঞান হইতে পারে না, ইহা উপলব্ধি করিয়া আমরা উত্তব দিতেছি, ব্রহ্মবিদ্যার প্রকাশের নিমিত্ত বৰ্ণাশ্রম কৰ্ম্মের অনুষ্ঠান কৰ্ত্তব্য বটে, যেহেতুক একথা বেদাদি শাস্ত্রের সহিত বিরুদ্ধ নহে, সুতরাং আমরাও ইহা স্বীকার করি ; কিন্তু ইহা সৰ্ব্বথা। অমান্য হয়, যে বৰ্ণাশ্রম কৰ্ম্মের অনুষ্ঠান ব্যতিরেকে ব্ৰহ্মজ্ঞানের উৎপত্তি হয় না, যেহেতুক ভগবান বেদব্যাস বর্ণাশ্ৰম কৰ্ম্মহীন ব্যক্তিরদেরও ব্ৰহ্মবিদ্যাতে অধিকার আছে, ইহা সুত্ৰে লিখিয়াছেন, সে এই দুই সুত্ৰ । অন্তরাচাপিতু তদৃষ্টঃ । অপিচ স্মৰ্য্যতে । এবং এই দুই সুত্রের বিবরণ ভগবান ভাষ্যকার করিয়াছেন, “অগ্নি হীন ব্যক্তি সকল, এবং দ্রব্যাদি সম্পত্তি রহিত ব্যক্তি সকল, যাহারদের কোন বর্ণাশ্রম কৰ্ম্মের অনুষ্ঠান নাই, এমত রূপ অনাশ্ৰমি ব্যক্তিরদের বিদ্যাতে অধিকার আছে, কিম্বা নাই, এই সংশয়ে আপাতত জ্ঞান এই হয়, যে আশ্রম কৰ্ম্ম হীন ব্যক্তিরদের বিদ্যাতে অধিকার নাই, যেহেতুক