পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৪৬৬

8 VV রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলী জ্ঞানের সাপেক্ষ হয়। আর প্রত্যক্ষ সিদ্ধ জগতের সমবায়ি কারণ জগতের অতি সূক্ষ্মতম অবয়ব হয় তাহার নাশ অসম্ভব সেই পৃথিব্যাদির সূক্ষ্মতম ভাগকে পরমাণুকহেন অবয়ব রহিত পরমেশ্বরকে অথবা অভাবকে পরমাণুর সমবায়ি কারণ কহ যায় না। অতএব পরমাণুর জন্য হওয়া অসম্ভব ঐ সকল পরমাণু ঈশ্বরেচ্ছায় পৃথক পৃথক দেশে পৃথক পৃথক কালে পৃথক পৃথক আকারে একত্ৰ হইয়া নানাসৃষ্টি হইতেছে। যে যে জ্ঞান পূর্বক কৰ্ত্তা সেই সেই কৰ্ত্ত দ্রব্য সংযোগ কাৰ্য সম্পন্ন করেন। প্ৰত্যক্ষ দেখি এবং ঈশ্বরকে জ্ঞান পূর্বক জগৎকৰ্ত্তা সকল মতে মানেন অতএব পরমাণু কাল আকাশ সমভিব্যাহারে তাহারও স্ৰষ্টত্ব নিশ্চিত হয়। ইহাতে মহাশয় যে দোষ দেন এমতে কর্তা ও জীব বড় ঈশ্বর ছোট ঈশ্বর হয়েন তাহা লগ্ন হয় না। সেহেতু ঈশ্বরের জগৎ কর্তৃত্ব ও স্বতন্ত্র কর্তৃত্ব জীবের কিঞ্চিৎ কর্তৃত্ব তাহা ও ঈশ্বরাধীন হয় কিঞ্চিৎ অংশে সাম্য হইলে ঈশ্বরত্ব হয় না । মিশনারি মহাশয়রা এবং আমরা ঈশ্বরকে ইচ্ছা! বিশিষ্ট দয়া বিশিষ্ট কহি জীবকেও দয়ালু ও ইচ্ছা বিশিষ্ট কহিয়া থাকি ইহার দ্বারা জীদ ও ঈশ্বরকে কি মিসনরি মহাশয়রা কি আমরা কেহ বড় ঈশ্বর ছোট ঈশ্বর স্বীকার করি না । মীমাংসা শাস্ত্রের প্রতি দোষোল্লেখ করেন যে সংস্কৃত শব্দ রচিত মন্ত্র ও সেই মন্ত্রাত্মক যাগ নানাবিধ দ্রব্য যোগে যে আশ্চৰ্য্য রূপী ফল জন্মে সে ঈশ্বর হয়। এ দর্শনে এমৎ কহেন। কিন্তু মানুষ্যের মধ্যে নানা ভাষা ও শাস্ত্ৰ এবং ভাষা ও দ্রব্য দুই জড় ও মানুষ্যের অধীন। কিন্তু মানুষ্যের অধীন যে দ্রব্য ও ভাষা তাহার অধীন যে কৰ্ম্ম ফল তাহাকে এই শাস্ত্ৰে ঈশ্বর কি রূপে কহেন পুনরায় লিখেন যে মীমাংসা শাস্ত্ৰে কহেন ঈশ্বর কৰ্ম্ম রূপী এক হয়েন কিন্তু কৰ্ম্ম নানা এ বিধানে ঈশ্বরের একত্ব কি প্রকারে প্রতীত হয় বিশেষত যে যে দেশে সংস্কৃত শব্দে কৰ্ম্ম না হয়। সে সে স্থান অনীশ্বরীয় কেন না হয়।