পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৫৪৯

কঠোপনিষৎ । G8S বিত্তমোহেন মূঢ়ং । অয়ং লোকো নাস্তি পর ইতিমানী পুনঃ পুনবশমাপত মে। ৬। অবিবেকী প্ৰমাদ বিশিষ্ট আর বিত্ত নিমিত্ত অজ্ঞানেতে আচ্ছন্ন যে লোক তাহারা পরলোক সাধনের উপায়কে দেখিতে পায় না। এই লোক যাহা দেখিতে পায় সেই সাঁতা আর ইহা ভিন্ন পরলোক নাই এই প্রকার জ্ঞান করে সে সকল লোক আমি যে মৃত্যু আমার বশে অর্থাৎ আমার শাসনে পুনঃ পুনঃ আইসে। ৬। শ্রবণায়াপি বহুভিৰ্যো না লভ্যঃ শুধন্তোপ বঙ্গবো যন্ন বিহুঃ । আশ্চর্যোহন্ত বক্তা কুশলোহম্ভ লব্ধা আশ্চৰ্য্যো জ্ঞাত কুশলানুশিষ্টঃ ।। ৭ । সেই যে পরমাত্মা তাহার প্রসঙ্গকে ও অনেকে শুনিতে পায় না। আর অনেকে শুনিয়া ও তাহাকে বোধগম্য করিতে পালে না। আর আত্মজ্ঞানেব বক্তা দুর্লভ চায়েন আর আত্মজ্ঞানকে শুনিয়া ও অনেকের মধ্যে কোনো নিপুণ ব্যক্তি ইহাকে প্ৰাপ্ত হয়েন যেহেতু উত্তম আচাৰ্য্য হইতে শিক্ষা পাইলেও এধৰ্ম্মের জ্ঞাত অতি দুর্লভ হয় । ৭। ন নরেণ্যাবরেণ। প্রোক্ত এষ সুবিজ্ঞেয়ো বহুধা চিন্ত্যমানঃ । অনন্যপ্রোক্তে গতিরত্ৰ নাস্ত্যণীয়ান হািতর্ক্যমাণু প্ৰমাণাৎ। ৮। অল্পবুদ্ধি আচাৰ্য্য যদি আত্মার উপদেশ করেন তবে আত্মা জ্ঞেয় তয়েন না যেহেতু নানা প্রকার চিন্তা আত্ম বিষয়ে ব্যাদির উপস্থিত করিয়াছে কিন্তু যদি ব্ৰহ্মজ্ঞানী সেই আত্মার উপদেশ করেন। তবে নানা প্রকার বিবাদ দূর হইয়া আত্মজ্ঞান উপস্থিত হয় এমৎ জ্ঞানীর উপদেশ না হইলে আত্মা সুন্ম হইতেও সুন্ম থাকেন অর্থাৎ অপ্রাপ্ত হয়েন যেহেতু তেঁহ কেবল তর্কের দ্বারা জ্ঞেয় নহেন। ৮। নৈষা তর্কেন মতিরাপনেয়া প্রোক্তান্তেনৈব সুজ্ঞানায় প্রেষ্ঠ। যান্ত্রিমাপঃ সত্যধুতির্বতাসি ত্বাদৃঙনোভূয়ান্নচিকেতঃ প্ৰষ্ট ৷৷ ৯ ৷৷ এই বেদ গম্য যে আত্মজ্ঞান সে কেবল তর্কে পাওয়া যায় না। কিন্তু কুতর্কিক ভিন্ন বেদান্ত জ্ঞানী আচাৰ্য্যের উপদেশ হইলে যে আত্মজ্ঞানকে তুমি পাইবে সেই আত্মজ্ঞানের তখন সুন্দর রূপে প্ৰাপ্তি হয় হে প্ৰিয়তম