পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৫৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাণ্ডুক্যোপনিষৎ । মাণ্ডুক্যোপনিষদের ভূমিকা । ওঁতৎসৎ। পূর্বের অথবা সম্প্রতিকের পণ্যের দ্বারা যে কোনো ব্যক্তির ব্ৰহ্মতত্ত্বকে জানিতে ইচ্ছা হয় তাহার কৰ্ত্তব্য এই যে বেদান্ত বাক্যের শ্রবণ ও তাহার অর্থের মনন প্ৰত্যহ করেন এবং তদনুসারে জগতের সৃষ্টি স্থিতি ভঙ্গকে দেখিয়া তাহার কারণ যে পরব্রহ্ম তাহাতে দৃঢ়তাব বিশ্বাস কবেন যে এক নিত্য সর্বজ্ঞ সৰ্ব্বশক্তিমান কারণ বিনা জগতের এবদগ নানা প্ৰকার আশ্চৰ্য্য রচনার সম্ভব হইতে পারে না । এইরূপে জগতের কাবণ এবং ব্ৰহ্মাণ্ডের ও তাবৎ শরীরের চেষ্টার কারণ যে পরমেশ্বর তাহার চিন্তন পুনঃ পুনঃ করিলে সেই ব্যক্তির অবশ্য নিশ্চয় হইবেক এই নামৰূপময় জগৎ কেবল সত্যস্বৰূপ পরমেশ্বরকে আশ্ৰয় করিয়া সত্যের ন্যায় প্রকাশ পাইতেছে তাহাব সত্তা অর্থাৎ তেঁহ আছেন এইমাত্ৰ জানা যায়। কিন্তু তাহার স্বরূপ কোনোমতে জানা যায় না। যেমন এই শরীরে জীব সর্বাঙ্গ ব্যাপিয়া আছেন ইতাতে সকলের বিশ্বাস আছে কিন্তু জীবের স্বরূপ কি প্রকার হয় ইহা কেত জানেন না। এই প্রকারে মন বুদ্ধি অহঙ্কার ও চিত্তের অধিষ্ঠাতা এবং সৰ্ব্বব্যাপী অথচ ইন্দ্ৰিয়ের অগোচর পরব্রহ্ম হয়েন ইহাই নিত্য ধারণা করিবেন। পরে মরণান্তে এইরূপ জ্ঞাননিষ্ঠ ব্যক্তির জীব অন্যত্ৰ গমন না হইয়া উপাধি হইতে সর্বপ্রকারে মুক্ত হইয়া তৎক্ষণাৎ ব্ৰহ্মস্বরূপ প্ৰাপ্ত হয়। ছান্দোগ্য শ্রুতিঃ । ন তস্য প্রাণা উৎক্রামন্তি অত্র ব্ৰহ্ম সমশ্বতে। ওই জ্ঞানির জীব ইন্দ্ৰিয় সহিত শরীর হইতে নিঃসৃত হয়েন না ইহলোকেই